পুলিশে হয়রানির শিকার চিকিৎসকরা

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, |                          

চলমান এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে ফ্রন্টলাইনার চিকিৎসকদের বাইরে বের হতে বাঁধা নেই এবং কোনো মুভমেন্ট পাস লাগবে না তাদের।

এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। তবুও সর্বাত্মক এই লকডাউনের প্রথম দিনেই বাইরে বের হয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজধানীর কয়েকজন চিকিৎসক।

তাদের একজনের নাম কৃষ্ণা হালদার। কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসার তিনি।

অভিযোগকারী অন্যজন রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই দুই চিকিৎসক অভিযোগ করেন, লকডাউনে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশের কাছে ‘বিব্রতকর’ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। এজন্য তাদেরকে জরিমানাও গুণতে হয়েছে।

বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে রীতিমতো।

ফেসবুকে চিকিৎসক কৃষ্ণা হালদার অভিযোগ করে লিখেন, গতরাতে কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আমার নাইট শিফটে ডিউটি ছিল। সকালে আমাকে আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার পিক আপ করার সময় কারওয়ানবাজার সিগনালে ড্রাইভার আমার আইডি কার্ড দেখানোর পরেও পুলিশ মামলা করে, জরিমানা করে, সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি তেজগাঁও থানা ও ট্রাফিকের ডিবি পুলিশের কার্যালয় গেলেও কেউ কোনো সহযোগিতা পাইনি। মুভমেন্ট পাস বের করতে পারিনি। এমতাবস্থায় কভিড ডিউটি করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে আমার জন্য।

একইরকম অভিযোগ করেছেন এক নারী চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন তার স্বামী (চিকিৎসক) হাসপাতালে যাওয়ার পথে হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে।

ফেসবুকে ওই নারী চিকিৎসক লিখেছেন, আমার স্বামী স্কয়ার হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে কর্তব্যরত আছেন। আজ সকাল ৮টা থেকে তার ডিউটি ছিল। আমাদের বাসায় আমার শ্বশুর কোভিড পজেটিভ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই আমার স্বামী (মুন্সীগঞ্জ) থেকে নিজের গাড়ি নিয়ে ডিউটিতে যাচ্ছেন বেশ কিছুদিন যাবৎ। আজ সকালে আমাদের গাড়ি সাইনবোর্ডের একটু পরে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে ৩০০০ টাকা জরিমানা করে। আমার হাসব্যান্ডের সাথে তার কর্মস্থলের আইডি কার্ড ছিল।

তাতেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান ওই নারী চিকিৎসক।