বাস্তবেও ৯৪ শতাংশ কার্যকরি ফাইজারের ভ্যাকসিন

প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, |                          

ট্রায়ালের বাইরে প্রথমবারের মতো ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যকরিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকরিতা নিয়ে যত তথ্য রয়েছে তা সবই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে চালানো ট্রায়াল থেকে পাওয়া। তবে ইসরাইলে বিশ্বের সবথেকে সফল ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলার পরে বাস্তবেও ভ্যাকসিনের কার্যকরিতার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তথ্য বলছে, সকল বয়সীদের জন্যেই ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ সংক্রমণ কমিয়ে আনছে দেশটিতে।

নাগরিকদের করোনা থেকে বাঁচাতে সবথেকে এগিয়ে আছে ইসরাইল। এরইমধ্যে দেশের বেশিরভাগ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। গত বুধবার দেশটি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ফাইজারের ভ্যাকসিনের এক ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পরই তা করোনার সংক্রমণ ৫৭ শতাংশ কমিয়ে আনে।

এই গবেষণা চালানো হয় ১২ লাখ মানুষের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।

গবেষণা দলের সদস্য র‌্যান বালিসের রয়টার্সকে বলেন, বাস্তবে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হয়না এবং এখানে প্রচুর বৃদ্ধ ও অসুস্থদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। ফলে আমরা আশঙ্কা করছিলাম, ট্রায়ালে যে সফলতা পাওয়া গেছে তা এখানে পাওয়া যাবে না। তবে এখন দেখা যাচ্ছে ভ্যাকসিন আসলেই কার্যকরি। ভ্যাকসিন ট্রায়ালের মতোই কার্যকরি বাস্তব দুনিয়ায়। এই গবেষণায় আরেকটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ফাইজারের ভ্যাকসিন বৃটেনে ছড়িয়ে পরা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকরি। তবে গবেষকরা এখনো এর কার্যকরিতার মাত্রা প্রকাশ করেননি।