রোহিঙ্গা ইস্যুতে মাদ্রিদে পেইন্টিং প্রদর্শনীর উদ্বোধন

প্রকাশিত: ৪:১৯ পূর্বাহ্ণ, |                          

 

সিদ্দিকুর রাহমান, স্পেন থেকেঃ
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক জনমত ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বশান্তির দর্শন ও
মানবতার জননী শেখ হাসিনার অবদানকে প্রতিপাদ্য করে জাতিসংঘ দিবসে মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে
একমাসব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক জনমত ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বশান্তির দর্শন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের বিষয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) জাতিসংঘ দিবসে মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিখ্যাত স্পেনীয় চিত্রশিল্পী ফ্রান্সিসকা ব্লাসকেসের এক মাসব্যাপী পেইন্টিং প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি।

বিশ্বশান্তি ও বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ থিমকে প্রতিপাদ্য করে প্রদর্শনীতে চিত্রকর ব্লাসকেসের ৩৩টি চিত্রকর্ম ছাড়াও নির্মম নিপীড়ন ও গণহত্যার শিকার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর রাজনৈতিক জীবন, জাতিসংঘে ১৯৭৪ সালে তাঁর প্রদত্ত ঐতিহাসিক বক্তৃতা ও বিশ্বনেতাদের সাথে তাঁর বৈঠকসমূহের অসাধারণ কিছু মুহূর্তের আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, শিল্পবোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, সিভিল সোসাইটির সদস্য, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিপুলসংখ্যক স্পেনীয় দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি বলেন, “বঙ্গবন্ধু প্রনীত স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি—সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরীতা নয়—আজও আদর্শ বৈদেশিক সম্পর্ক নিরূপণের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। বিশ্বশান্তি সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘ সনদের নীতিসমূহ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ তার সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মায়ের মমতায় আশ্রয়দানের জন্য বৃটিশ গণমাধ্যম চ্যানেল ফোর নিউজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে মানবতার জননী আখ্যা দিয়েছে।” রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক জনমতকে প্রভাবিত করতে ভূমিকা রাখার জন্য আগত অতিথিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সাংস্কৃতিক কূটনীতি ও জনকূটনীতির পরিসরে প্রদর্শনীটি স্পেনের জনমানসে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমূর্তি সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশিত।