বছরে ৪ লাখ কর্মী নিতে পারে জার্মানি

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২১ | আপডেট: ২:৪৭:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২১
বছরে ৪ লাখ কর্মী নিতে পারে জার্মানি, আরটিভি

জার্মানিতে দিন দিন কর্মীর সংখ্যা কমছে। তাই আরও বেশি কর্মীর আশায় দক্ষ অভিবাসীদের জন্য দুয়ার খুলে দিতে পারে জার্মানি। মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় নিয়োগ সংস্থার (বিএ) প্রধান ডেটলেট শিলি এ কথা বলেছেন। খবর ডেইলি সাবাহ’র।

জরুরি ভিত্তিতে কর্মী চেয়ে সরকারের কাছে ইতোমধ্যেই আবেদন করেছেন শিলি। তিনি বলেন, দেশটিতে শ্রম সংকট মেটাতে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ দক্ষ অভিবাসী দরকার জার্মানির।

জার্মানির দৈনিক পত্রিকা সুয়েডডয়চে জেইটুং’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দিন দিন দক্ষ শ্রমিকের পরিমাণ কমে আসছে জার্মানিতে। শিলি বলেন, আমি আশ্রয়ের কথা বলছি না বরং শ্রমবাজারের ঘাটতি মেটাতে টার্গেটেড অভিবাসন দরকার।

জার্মান এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছর আমাদের ৪ লাখ অভিবাসী দরকার। অন্যকথায়, আগের বছরগুলোর তুলনায় এই সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি। সেবাখাত এবং এয়ার কন্ডিশনিং থেকে লজিস্টিক এবং অ্যাকাডেমিকস- সব জায়গায় দক্ষ শ্রমিকের স্বল্পতা দেখা দেবে।

এসময় তিনি বলেন, শ্রম ইস্যুর সমাধানে অভিবাসীদের আনার ক্ষেত্রে বিরোধিতা দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, আপনি হয়তো বলতে পারেন যে, আমরা বিদেশিদের চাই না। কিন্তু এভাবে কিছু হবে না। আসল কথা হচ্ছে, জার্মানিতে কর্মীর সংখ্যা কমছে দিন দিনি।

শিলি বলেন, এ বছর চাকরির বাজার থেকে প্রায় দেড় লাখ মানুষ কমে যাবে। আগামী বছরগুলোতে এই সংখ্যাটা আরও নাটকীয় আকার ধারণ করবে।

তিনি বলেন, অদক্ষ শ্রমিক এবং কারিগরি পরিবর্তনের কারণে যারা চাকরি হারিয়েছে একই সঙ্গে নারী খণ্ডকালীন কর্মীদের কর্মঘণ্টা বাড়ানোর মাধ্যমে শ্রম সংকট কমাতে পারবে জার্মানি। তবে সবকিছুর ওপর দেশে অভিবাসীদের আনার মাধ্যমেই এই সংকট সমাধান সম্ভব।

আগামী মাসেই জার্মানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার করা রয়েছে। এই নির্বাচনে শ্রম সংকট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন শিলি। তিনি মনে করেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাকে এই শ্রম সংকট মোকাবিলা করতে হবে।

এমন এক সময় শিলি এই মন্তব্য করলেন যখন আফগানিস্তান থেকে নিজের দেশের নাগরিক এবং শরণার্থীদের উদ্ধার করছে জার্মানি। গত ১৫ আগস্ট তালেবানরা দেশটির শাসনক্ষমতা দখল করে নেয়ার পর বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ তাদের নাগরিক এবং শরণার্থীদের আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করে আনছে।