জাতিসংঘে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ায় যা বলল ইরান

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, |                          
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ মানে আত্মহত্যা: জারিফ

জাতিসংঘে ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত মৌলিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ, সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং পুরোপুরি অযৌক্তিক।

জাতিসংঘে বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ না করায় গত জানুয়ারি মাসে সাধারণ পরিষদে ইরানের ভোটাধিকার ক্ষমতা বাতিল করা হয়। সনদের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, যেসব দেশ দুই বছর জাতিসংঘকে বার্ষিক চাঁদা দিতে ব্যর্থ হবে, সাধারণ পরিষদে তাদের ভোটের অধিকার বাতিল হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস গত ২৮ মে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে এক চিঠিতে বলেন, বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ না করায় পাঁচটি দেশের ভোট প্রয়োগের অধিকার বাতিল করা হয়েছে। তবে কোনো সদস্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার কারণে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ভোট প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের কাছে এক চিঠিতে ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ব্যাপক হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘে ইরানের ১৬.২ মিলিয়ন ঋণের কারণ হলো-যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি (২০১৫) থেকে ওয়াশিংটনকে এককভাবে প্রত্যাহার করে নেন। পর ইরানের ওপর তিনি ব্যাপক অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িকসহ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

গুতেরেসকে পাঠানো চিঠিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে ইরানের চাঁদা পরিশোধ না করতে পারার মূল কারণ হলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ একক নিষেধাজ্ঞা আরাপ। জাতিসংঘের নেতৃত্বকে ‘লক্ষ্য এবং নীতিতে বিশ্বস্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া সদস্য রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা খর্ব করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকেও রাষ্ট্রসংঘকে বিরত থাকার আহ্বান জানান জাভেদ জারিফ।

জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেনে দুজারিক জানিয়েছেন, ইরানের সমস্যা সমাধানে গভীর আলোচনা হয়েছে এবং আরও আলোচনা চলমান রয়েছে।