রাষ্ট্র ও সমাজের নেতৃত্বে মেধাবীদের এগিয়ে আসতে হবে -বিভাগীয় কমিশনার

সিলেট নিউজ ওয়ার্ল্ড
প্রকাশিত নভেম্বর ২৬, ২০২৫
রাষ্ট্র ও সমাজের নেতৃত্বে মেধাবীদের এগিয়ে আসতে হবে -বিভাগীয় কমিশনার

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খান মো: রেজা-উন-নবী বলেছেন, রাষ্ট্র, সমাজ ও দেশের সর্বপর্যায়ের নেতৃত্বে মেধাবীদের এগিয়ে আসতে হবে।আপনি মেধাবী ছাত্র ঘরে বসে থাকবেন,আর আপনাকে পরিচালনা করবে অমেধাবীরা,তা হতে পারে না। সমাজের সকল জায়গা থেকে দুর্বৃত্তদের অপসারণ করতে হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন দুর্বৃত্তদের জায়গা হবে না।নতুন বাংলাদেশ দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার(২৫ নভেম্বর) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমগ্র সিলেট জেলার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সকল বিষয়ে জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসন, সিলেট-এর পক্ষ থেকে কৃতী সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ,সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক, রাজস্ব,পরিচালক -স্থানীয় সরকার) দেবজিৎ সিংহ, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লি: এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: আব্দুল জলিল প্রামানিক,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জী,এম সি কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর গোলাম আহমদ খান ,সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ভুবনজয় আচার্য, জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, বারহাল আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নেছার আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুদ রানা।

জেলা কালচারাল অফিসার জ্যোতি সিনহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শাহজালাল জামেয়া ইসলামীয়া পাঠানটুলা কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দী,সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: ফজলে রাব্বানী চৌধুরী, সিলেটের এনডিসি কিশোর কুমার পাল,জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন সজীব, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তাসনিয়া এবং অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ডা: রেজওয়ানা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন,বিগত সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর জুয়া খেলার রাজনীতি, নষ্ট রাজনীতি সমাজকে ধ্বংস করেছে। বুয়েটে যারা আবরার ফাহাদকে খুন করেছে, বুয়েটে আসার আগে এরা তো খুনি ছিল না।এদেরকে কারা নষ্ট করেছে?তাই দুর্বৃত্তপণা আর চলতে দেয়া হবে না।তিনি বলেন,স্বাধীন বাংলাদেশ রক্ত দিয়ে এনেছে এদেশের তরুণেরা।কিন্তু সদ্য স্বাধীন শিশু বাংলাদেশে সেসময় তাদের স্বপ্নের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,সিলেবাসের বাইরেও মহাসাগরের মতো জ্ঞান রয়েছে।সেটি নিয়েও ভাবতে হবে। যেদিকে ভালো সেদিকে যাও।কিন্তু সময় নষ্ট করা যাবে না।প্রতিটি সময়, প্রতিটি মুহূর্তের সমষ্টিই জীবন।তিনি বলেন,একটি মুহূর্ত নষ্ট করা মানে জীবনের একটি অধ্যায় নষ্ট করা।তাই জীবনের পরবর্তী ধাপে আমরা যেন ছিটকে না পড়ি সেদিকে খেয়াল রাখতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি তিনি আহবান জানান।বিভাগীয় কমিশনার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে এ ধরনের উদ্ভাবনী কর্মসূচি হাতে নেয়ার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলমকে ধন্যবাদ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন,আমরা যদি কোনো স্থাপনা,ভবন বা রাস্তা তৈরি করি তা বড়জোর দশ বা পনেরো বছর সেবা দিবে।কিন্তু যদি কিছু মানুষ তৈরি করতে পারি, কৃতি শিক্ষার্থী তৈরি করি তাহলে সেই মানুষগুলো এই অঞ্চলে পঞ্চাশ থেকে একশো বছর আলো দিবে।সেই লক্ষ্যে এই প্রোগ্রাম মুলত কৃতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতেই আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন,এটি বহমান নদীর মতো অব্যাহত থাকবে।সভায় জেলা পরিষদের প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসনের এই কর্মসূচি চলমান রাখতে আগামী পাঁচ বছর জেলা পরিষদ পৃষ্ঠপোষকতা করে যাবে বলে ঘোষণা দেন।