ডেংগু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে এক বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিলেট ডা. মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন সহকারী পরিচালক ডা. মো. নূরে আলম শামীম, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসারবৃন্দ, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অভিযান চলাকালীন জেলা স্যানিটারি জনাব শেখর কান্তি পাল এবং কীটতত্ত্ববিদ জনাব নজরুল ইসলাম কার্যক্রমের তদারকি করেন। কার্যালয়ের প্রাঙ্গণ, পার্শ্ববর্তী এলাকা, ড্রেন, ছাদ ও ভবনের আশপাশে জমে থাকা পানি অপসারণ, আবর্জনা পরিষ্কার এবং সম্ভাব্য ডেংগু মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়। মূলত ডেংগু রোগের উৎপত্তিস্থল হিসেবে ফুলের টব, ছাদের জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, বোতল, ডাবের খোসা, পানি সংরক্ষণের খোলা ড্রাম ও ট্যাংক, ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনের ট্রে, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ এবং ড্রেন বা নালায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা হয়।
ডেংগু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। প্রতি বছর দেশে হাজারো মানুষ ডেংগুতে আক্রান্ত হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করে। উচ্চ জ্বর, চোখের পেছনে ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা ও ত্বকে র্যাশ দেখা দেওয়া— এ রোগের সাধারণ উপসর্গ। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ডেংগু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেংগু শক সিনড্রোম প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই এখন থেকেই প্রত্যেক নাগরিককে নিজের ঘরবাড়ি, অফিস ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিলেট ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, “ডেংগু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো নিজ নিজ পরিবেশ পরিষ্কার রাখা। সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘরের আশপাশে জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া ও পরিষ্কার রাখা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। জনগণ সচেতন হলে ডেংগু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”
অভিযান শেষে উপস্থিত সবাই ডেংগু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।