উঠে দাড়ালেন মমতা

প্রকাশিত: ৯:১১ পূর্বাহ্ণ, |                          

পায়ে ব্যথা গত প্রায় ২০ দিন ধরে। তবে মনের জোরের কাছে হার মেনেছে সেই শারীরিক যন্ত্রণা। তাই ১৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ – এতোগুলো দিন হুইলচেয়ারে বসে, জেলায় জেলায় ঘুরে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করলেও এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করে দেখালেন; তা কেবল মনের জোরেই সম্ভব।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে মঙ্গলবারই ছিল প্রচারের শেষদিন। ওইদিন বিকেলে নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ের জনসভাই ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ সভা।

কর্মসূচি সমাপ্তির সময় মঞ্চে বেজে ওঠে ভারতের জাতীয় সংগীত। সঙ্গে সঙ্গে হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন মমতা। ক্ষণিকের জন্য হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন, তিনি আহত, তার পায়ে আঘাত। যদিও পাশে থাকা অন্যদের সাহায্য নিয়ে এক পায়েই কোনো রকমে উঠে দাঁড়ান তিনি। গলা মেলান অন্যদের সঙ্গেও।

গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশের পর মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে বাম পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর প্রায় ২ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়ি ফিরেই তিনি হুইলচেয়ারকে সঙ্গী করে জেলায় জেলায় নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েন। তাকে দেখা যায় এক ব্যতিক্রমী রূপে। সভামঞ্চের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে হেঁটে হেঁটে ভাষণ দেওয়ার পরিচিত দৃশ্য যেন বদলে যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে সবাই দেখলেন, মঞ্চে জাতীয় সংগীত বেজে ওঠার পরই হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন মমতা। তা দেখে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন তার নিরাপত্তারক্ষীসহ দলের সতীর্থরা। অন্যরা তাকে ধরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মমতা ছিলেন বেশ চাঙ্গা। মনের জোরেই ভাঙা পা স্ট্যান্ডের ওপর রেখে ডান পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে যান তিনি। বুঝিয়ে দিলেন, ফের উঠে দাঁড়াবেনই তিনি।