আটকা পড়া রোহিঙ্গাদের গ্রহণে বাধ্য নয় বাংলাদেশ, নিতে পারে ভারত বা মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১ | আপডেট: ২:০৫:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১

আন্দামান সাগরে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে ভাসমান রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের “কোন বাধ্যবাধকতা” নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে. আবদুল মোমেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়- ভারতীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, ভারতের কোস্টগার্ড একটি মাছ ধরার নৌকায় আটটি মৃতদেহ এবং বেঁচে যাওয়াদের দেখতে পায় যারা বাংলাদেশ তাদের নিয়ে যাবে বলে চেষ্টা করছিল। শরণার্থীদের খাবার এবং পানি দিলেও তাদের উপকূলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ভারতের ছিল না।

তবে মোমেন শুক্রবার গভীর রাতে রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে নিকটতম দেশ ভারত কিংবা রোহিঙ্গাদের দেশ বা জন্মভূমি মিয়ানমার তাদের গ্রহণ করবে। তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয় এবং বাস্তবে তারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা থেকে ১,৭০০ কিলোমিটার (১,১০০ মাইল) দূরে পাওয়া গেছে এবং সেকারণে তাদের গ্রহণ করতে আমাদের কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

মোমেন প্রশ্ন রাখেন, বিশ্বের সব রোহিঙ্গা বা সাগরে ভাসমান মানুষকে গ্রহণ ও পুনর্বাসনের জন্য কি বাংলাদেশ কি বৈশ্বিকভাবে চুক্তিবদ্ধ এবং বাংলাদেশকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? না, একদমই না।

মোমেন বলেন, ইউএনএইচসিআরকেও দায়িত্ব নিতে হবে কারণ নৌকায় থাকা প্রায় ৪৭ ব্যক্তি বাংলাদেশের ইউএনএইচসিআর অফিস থেকে আইডি কার্ড ধারণকারী যাতে বলা আছে তারা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক। যদি (শরণার্থীরা) ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী হয় তবে কেন পাচারকারীদের তাদের কার্ডধারীদের গভীর সমুদ্রে মৃত্যুমুখে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল?