মিত্রদের সঙ্গে ইরান নিয়ে আলোচনা করবেন বাইডেন

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২১ | আপডেট: ৫:২৫:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২১

কূটনৈতিকভাবে ইরানের ওপর পারমাণবিক বাধ্যবাধকতা আরও জোরদার ও দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

বিদেশি প্রতিপক্ষ ও মিত্রদের সঙ্গে আলাপে এই ইস্যুটি থাকবে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেসসচিব জেন সাকি। বাইডেন বলেছেন, তেহরান যদি ২০১৫ সালের চুক্তি কঠোরভাবে মেনে চলে, তবে ওয়াশিংটনও তা-ই করবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি এমন খবর দিয়েছে। চুক্তিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাইয়ের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির রাস টেনে ধরার কথা রয়েছে।

নিজের প্রথম প্রেসব্রিফিংয়ে জেন সাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক বাধ্যবাধকতা জোরদার ও দীর্ঘায়িতকরণের পাশাপাশি অন্যান্য উদ্বেগজনক ইস্যুর সুরাহা করা হবে। এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ইরানকে অবশ্যই চুক্তির অধীন পারমাণবিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।

‘আমরা প্রত্যাশা করছি, অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে তার কিছু আগাম কথাবার্তা হবে। এতে নিশ্চিতভাবে পূর্বাভাস দেয়া যায় যে ইরান ইস্যু আলোচনার জায়গা পাবে।’

২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বশক্তিগুলোর পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর দেশটির বিরুদ্ধে দফায় দফায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তিনি।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘নিপীড়ক শাসক’ আখ্যায়িত করে হোয়াইট হাউস থেকে তার প্রস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ‘বল এখন আমেরিকার কোর্টে’। ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।

বুধবার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদলীয় জো বাইডেন। ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি।

রুহানি বলেন, একটি নিপীড়ক যুগের অবসান ঘটেছে। অশুভ শাসনের আজ শেষদিন।