সোলেইমানি হত্যায় ব্রিটিশ নিরাপত্তা কোম্পানি জিফোরএস জড়িত : ইরান

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, |                          

ইরাকে গত বছর ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যায় ব্রিটেনের একটি নিরাপত্তা কোম্পানি ও জার্মানিতে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটি জড়িত বলে দাবি করেছে ইরান। খবর আল জাজিরার।

বুধবার এক সংবাদ সম্মলেনে তেহরানের প্রসিকিউটর আলি আলকাসিমের দাবি করেছেন, সোলেইমানি হত্যায় লন্ডনভিত্তিক নিরাপত্তা সেবা প্রদানকারী কোম্পানি জিফোরএস’র ভূমিকা রয়েছে। আলকাসিমের বলেন, ‘জেনারেল সোলেইমানি ও তার সঙ্গীরা বিমানবন্দরে প্রবেশের পরপরই জিফোরএস’র এজেন্টরা সন্ত্রাসীদের কাছে তথ্য পাঠিয়েছিল।’ তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, সোলেইমানি তার লোকজন নিয়ে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার পরপরই মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প এই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হামলার সময় সোলেইমানির সঙ্গে নিহত হন ইরাকি কমান্ডার আবু আল-মাহদিসহ আরও কয়েকজন।

তেহরানের প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘মার্কিন বাহিনীকে ড্রোনটি পরিচালনার প্রতিবেদন ও উড্ডয়নের তথ্য দিয়েছিল জার্মানির একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটি।’ সোলেইমানি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করেছে এমন দাবি এর আগেও করেছে ইরান।

উল্লেখ্য, রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিটি ইউরোপে মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রধান কার্যালয়। এটি ন্যাটোর জোটবদ্ধ এয়ার কমান্ডের অতিরিক্ত সংযোজন। গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন অপারেশনের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে এটি কাজ করছে।

আলকাসেমি আরও বলেন, ইরান আইনি পদ্ধতিতে সোলেইমানি হত্যার নির্দেশ ও সংঘটনে জড়িতদের খোঁজ করছে। এক্ষেত্রে ইন্টারপোলের সহযোগিতাও নেয়া হচ্ছে। অপরাধীদের মধ্যে ৪৫ মার্কিন নাগরিক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে, ইরাকি সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির দেয়া কিছু দায়িত্ব পালনের কথা নিশ্চিত করলেও হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে জিফোরএস। আল জাজিরাকে দেয়া এক লিখিত বিবৃতিতে জিফোরএস বলেছে, ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন জল্পনার প্রতিক্রিয়ায় আমরা পরিষ্কার জানাচ্ছি যে, ২০২০ এর ৩ জানুয়ারি কাসেম সোলেইমানি ও আবু-মাহদি আল-মুহান্দিসের ওপর হামলার ঘটনায় জিফোরএস’র কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’

৩ জানুয়ারি সোলেইমানি হত্যার এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে অনেক দিন থেকেই। বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভাদ জারিফ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধের অযুহাত খুঁজছেন।

এক টুইটার পোস্টে জাভাদ লিখেছেন, ‘যুদ্ধের অজুহাত খোঁজা হচ্ছে বলে ইরাক থেকে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। ইরান যুদ্ধে জড়াতে চায়না কিন্তু আমাদের জনগণ, নিরাপত্তা ও প্রধান স্বার্থগুলোকে আমরা সরাসরি ও উন্মুক্তভাবে রক্ষা করব।’