সিলেট ২৮শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আসুন সরকারকে নামানোর জন্য একটু চেষ্টা করি। চেষ্টা করলে সফলও হতে পারি, ব্যর্থও হতে পারি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত মানবন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।। ‘টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর মহিলা দলের সভানেত্রী হাবিজা বেগমের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা ও তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা এবং দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে’ এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
গয়েশ্বর রায় বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, কাপুরুষ এবং মূর্খরা অদৃষ্টের উপরে নির্ভর করে। আর বীর পুরুষরা নিজেদের অদৃষ্ট নিজেরা গড়ে তোলে। যার নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো, ঠিক আজকে সেই বিএনপিতে খালেদা জিয়া আছেন, তারেক রহমান আছেন। তাদের নেতৃত্বে আমরাও বীর পুরুষের মত আমাদের ভাগ্য, দেশের ভাগ্য, গণতন্ত্রের ভাগ্য, নারী ও শিশুদের আগামী দিনের ভাগ্য আমরাই প্রতিষ্ঠিত করব।
নতুন বছরে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ববোধ থেকে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার মত শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আসুন রাজপথে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে লড়াই সংগ্রাম করে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। যেভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান দেশ স্বাধীন করার জন্য পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
‘কত যে খবর আসে কাগজের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে’ বাংলা চলচ্চিত্রের এই গানের একটি লাইন উল্লেখ করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, টিভিতে অনেক খবর দেখেন, পত্রিকার পাতায় অনেক খবর পড়েন। তারপরও শতভাগের একভাগ খবরও জনসম্মুখে আসে না। কারণ শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রের সব প্রশাসনযন্ত্র, রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান আছে সব একজনের আচলে বাঁধা।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর কুত্তায় নিয়ে গেছে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। গল্পের ছলে তিনি বলেন, আজ গণতন্ত্রও কুত্তায় নিয়ে গেছে। এখন ধরবেন কী ধরবেন না ? এখন যদি বলেন কবিতার ভাষায় ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামাড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কী কুকুরকে কামনো মানুষের শোভা পায় ?’
তিনি বলেন, কোনো অধিকারই সংগ্রাম ছাড়া হয় নাই। বিএনপির তো সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন? প্রতিষ্ঠিত করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি কী করেছেন লড়াই করেছেন। যুদ্ধ করেছেন। তিনি প্রথম পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তার উর্ধ্বতন কমান্ডারকে গুলি করে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পরে নেতৃত্ব কে দিয়েছেন, খালেদা জিয়া। রাজপথে মশাল হাতে ঢাকার অলিতে গলিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। সেইকারণে বেগম খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী। আপোসহীন নেত্রীর কর্মীরা যদি আপোসকামী হয়, তাহলে তো শেখ হাসিনা অবজ্ঞা তো করবেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেই।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, তারা শেখ হাসিনাকে আজীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান, বিএনপির কারণে পারছেন না। মধ্য প্রাচ্যে যেমন শেখ ডাইনেস্টি আছে, এক শেখ যান আরেক শেখ আসেন। বাংলাদেশেও উনারা শেখ ডাইনেস্টি প্রতিষ্ঠা করতে চান। নামের সঙ্গে তো শেখ আছে। খালি একটু আইনটা পাস করলেই হয়। বিএনপির কারণে তারা সেই প্রত্যাশা পূরন করতে পারছে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে হটানোর আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, জেবা খান, রবিউল ইসলাম রবি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।
Chief Editor : Afroz Khan
Editor: Sunny Ahmed
Executive editor: Mohammed Taizul islam,
Message editor : Shahan Shah Ahmed
Call: +88 01995-019920
Office : Al Marjan Shoping Centre (3nd Floor), Zindabazar, Sylhet 3100
Email : info.Sylhetnewsworld@gmail.com
২০১০ সাল থেকে শুরু – সরকারি নিবন্ধনের আবেদনকৃত নিউজ পোর্টাল।