করোনা: বৃটিশ সরকারের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা

প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, |                          

করোনা ভাইরাস মহামারিতে বাংলাদেশ সফরে ভ্রমণ সতর্কতা আপডেট দিয়েছে বৃটেন। এতে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণের আগে করোনার নেগেটিভ সনদ কাছে রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বৃটিশ নাগরিকদের। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, বৃটিশ সহ সব বিদেশিকে বাংলাদেশ সফরের ৭২ ঘন্টা আগে করোনা নেগেটিভ সনদ প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে পৌঁছার পর ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলেছেন, কোনো যাত্রী স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে সক্ষম, নাকি তাকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশনে যেতে হবে তা যাচাই করবে বাংলাদেশ। ২৯ শে ডিসেম্বর আপডেট করা ভ্রমণ সতর্কতায় এসব কথা বলেছে বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ভ্রমণের আগে ইন্সুরেন্স আছে কিনা তা যাচাই করে নেয়ার ওপর গুরুযত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, এই ভ্রমণ ইন্সুরেন্স পর্যাপ্ত ব্যাকআপ দেবে কিনা তা যাচাই করে দেখতে।

এতে আরো বলা হয়, কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই প্রতি বছর বাংলাদেশ সফর করেন প্রায় দেড় লাখ বৃটিশ নাগরিক। এই সতর্কতায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের আরো হামলা চালানোর খুব বেশি ঝুঁকি রয়েছে। এমন হামলার ঝুঁকি সারাদেশে বিদ্যমান। এর আগে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে একাধিকবার আইইডি (উন্নত ধরণের বিষ্ফোরক বোমা জাতীয়) হামলা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতের ধর্মীয় সমাবেশ, রাজনৈতিক সমাবেশ, পুলিশ অথবা নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের উপস্থিতি আছে এমন স্থানে এবং বিদেশিরা সমবেত হন এমন এলাকাগুলোতে হামলা হতে পারে। এসব স্থানে বৃটিশ নাগরিকদের উপস্থিতি কমিয়ে আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর র‌্যালিতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী এজেন্সির সঙ্গে বিশৃংখল অথবা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য বাংলাদেশে বড় সমাবেশ যেমন ধর্মীয় জমায়েত, উৎসব ও রাজনৈতিক র‌্যালি এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সতর্কতায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বায়ু দূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় একটি ঝুঁকি। বিশেষ করে শীতের সময়ে এ ঝুঁকি বেশি। বর্তমানে ঢাকার বাতাসে চরম মাত্রায় দূষণ রয়েছে।