করোনা ভ্যাকসিনের ‘উইনিং ফর্মুলা’ পাওয়ার দাবি অ্যাস্ট্রাজেনেকার

প্রকাশিত: ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ, |                          

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের নেপথ্যে থাকা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান জানিয়েছেন, তাদের গবেষকরা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার উন্নতি ঘটানোর ‘উইনিং ফর্মুলা’ পেয়ে গেছেন। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্কাই নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাজ্য সরকার ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে। ধারণা করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনও অনুমোদন পাবে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রধান এমন আশার কথা শোনালেন।

খবরে বলা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে আধা ডোজ এবং অন্তত একমাস পর পূর্ণাঙ্গ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

এক মাসের ব্যবধানে যখন দুটি পূর্নাঙ্গ ডোজ দেওয়া হয়েছে তখন ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা ছিল ৬২ শতাংশ। সব পরীক্ষার ফল গড়ে নেওয়ার পর কার্যকারিতা দাঁড়িয়েছে ৭০ শতাংশ।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রতিদ্বন্দ্বি কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যথাক্রমে ৯৫ ও ৯৪.৫ শতাংশ।

কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাসকেল সোরিয়ট বলেছেন, আমরা মনে করি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়ানোর উইনিং ফর্মুলা পেয়ে গেছি। দুই ডোজের পর প্রায় সবার সমান কার্যকারিতা হয়ে যাবে। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারছি না কারণ তা প্রকাশিত হবে।

এমন অগ্রগতি ব্রিটিশ সরকারের জন্য স্বস্তি ঢেকে আনবে। কারণ এই ভ্যাকসিনটির ১০ কোটি ডোজ অর্ডার দিয়েছে সরকার। মার্চ মাসের শেষে ৪ কোটি ডোজ পাওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

সোরিয়ট বলেছেন, এর আগে প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলকে তাদের কোম্পানি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তার কথায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রকদের বেঁধে দেওয়া মান বজায় রাখতে পেরেছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছিলাম মানুষ কিছুটা হতাশ হবে। মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু আমরা ঝড় আসা করিনি।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিনের অধ্যাপক ড. পিটার ওপেনশ বলেন, মনে হচ্ছে এটি খুব আশাব্যঞ্জক। আমরা কীভাবে বর্তমান সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে পারি সেজন্য এটি খুবই আশার কথা।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক প্রভাব অনেক বেশি হবে বলেও মনে করেন তিনি।