
অভিবাসন প্রতিবেদন:আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা এবং এন,জি,ও গুলোকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর বার্তা!!!
আমরা এগারো লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি শুধুমাত্র মানবিক কারণে, আমাদের দেশ একটি ঘনবসতিপূর্ন দেশ, এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় দুই হাজারের বেশি লোক বসবাস করেন যেখানে ইউরোেপর একটি দেশে বাস করে বিশ জনের মতো। আমরাই একমাত্র জাতি যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি আর কেউ দেয়নি, আমরা আমাদের সাধ্যমতো তাদের বাসস্তানের ব্যাবস্থা করেছি, আমরাই ভালো জানি রোহিঙ্গারা কিভাবে থাকবে, কোথায় থাকবে সুতরাং আন্তর্জাতিক এন,জি,ও কিংবা পশ্চিমা দেশগুলো যদি মনে করে রোহিঙ্গারা এখানে ভালো নেই তাহলে তারা তাদের নিয়ে যেতে পারে, আশ্রয় দিতে পারে, আমরা তাতে তাদের অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো, কিন্তু তারা তা করছে না, বাংলাদেশ ছাড়া আর কেউ রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। উল্টো কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের উপর খবরদারি করার চেষ্টা করেছেন, তারা থাকেন কক্সবাজারের ফাইভ স্টার হোটেলে হলিউডে মোডে আর আমাদের উপর মাতব্বরি করেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে। আমাদের উপদেশ দেন ভাসানচরে রোহিঙ্গারা যাবে কি যাবে না, আমার প্রশ্ন তাদের প্রতি, আপনারা আপনাদের দেশে শরনার্থীদের কিভাবে আশ্রয় দিয়েছেন? আমরা আপনাদের মতো পলিথিনের ঘর বানিয়ে দেই নি! আমরা তাদের একটি পরো দীপে অত্যাধুনিক বাসস্থানের সাথে সাথে কর্মসংস্তানের ব্যাবস্থা করে দিয়েছি। কিছু বিদেশি সংস্থা রোহিঙ্গাদের হাতে দৈনন্দিন ব্যাবহারিক কাজের জন্য চাপাতি বা কিরিচ সরবরাহ করে যা আমাদের দেশে দেশীয় অস্ত্র হিসাবে পরিচিত, এই বিযয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক যা আমাদেরকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের মানবিক একটি কাজকে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাগুলো আমাদেরকে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশে হুমকিতে পরিনত করার চেষ্টা করছে!! তাদের রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এতই যদি দরদ থাকে তারা মিয়ানমারের প্রতি কেন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?? উল্টো মিয়ানমারের সাথে অনেক পশিমা রাস্ট্র অস্ত্র ও বানিজ্য চুক্তি করছে!!! রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমাদের সাফ কথা, আমরা তাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি সুতরাং বাংলাদেশের সরকার আর জনগন ভালো জানে তারা কোথায় থাকবে, কিভাবে থাকবে আর কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে, ইন্টারনেট, থ্রিজি না ফোরজি পাবে আমরা ভালো জানি। আপনাদের কাজ হলো আমাদের সাহায্য করা মাতব্বরি করা নয়, পারলে রোহিঙ্গাদের আপনারা আপনাদের দেশে নিয়ে যান, নিয়ে ফাইভজি দিতে পারেন!!!