ফ্রান্স আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেন

প্রকাশিত: ৫:১১ পূর্বাহ্ণ, |                          

তাইজুল ফয়েজ, ফ্রান্স থেকে:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন। দীর্ঘ উত্থান-পতনের ধারাবাহিকতায় দলটি টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকী, দলের নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে দেশ-বিদেশে এবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন তারি ধারাবাহিকয়ায় শুক্রবার (২৩জুন) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের এক বল রুমে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্‌যাপন করছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেন, এমপি তিনি বলেন
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে আজ উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে গেছেন। ভীষন ২০৪১বাস্তবায়নে রেমিটেন্স যুদ্ধাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এম এ কাশেম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসেনের কয়েস এর পরিচালনায়
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম এ তালহা, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
এতে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ১৯৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের নাম আওয়ামী লীগ করা হয় ।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজ উদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, কামারুজ্জামান প্রমুখ।
১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছয় দফা দাবি দেওয়া হয় এবং ছয় দফা কে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়। এরপর ১৯৬৯ সালে গণ–অভ্যুত্থান,
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় হয়। সেই বিজয়ের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতা পায়।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্য। তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তখন প্রাণে বেঁচে যান। এরপর ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। সেই সরকার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করে ক্ষমতা ছাড়ে।
এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতায় রয়েছে।
সামনে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আন্তর্জাতিক চাপও তৈরি হয়েছে। ফলে এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।