স্পেনে জাতীয় যাদুঘরে”পিকনিক দেল বাররিও”

প্রকাশিত: ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ, |                          

সিদ্দিকুর রাহমান ,স্পেন থেকে:
স্পেনের জাতীয় যাদুঘর ‘রেইনা সুফিয়া’ পরিচলানা কমিটির আমন্ত্রণে এক উৎসবে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।শনিবার (১০ ই জুন) দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে অবস্থিত যাদুঘরটির পার্কে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘ভালিয়েন্তে বাংলা’সহ অন্যান্য দেশের একাধিক সংগঠন প্রতিবছরের মতো এ বছরও আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আয়োজন করে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের। আয়োজনটি উপস্থিত সবাইকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আপ্লুত করে।
প্রতিবারের মতো এবারও মাদ্রিদের বিখ্যাত যাদুঘর রেইনা সুফিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে “পিকনিক দেল বাররিও” মাদ্রিদে বসবাসকারী ২৫ টি দেশের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠন এতে অংশ নেয়। এখানে অংশ নেয়া দেশগুলোর শিল্প সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়,পাশাপাশি ব্যানার ফেস্টুন প্লা কার্ড, অঙ্গভংগী ও নৃত্যের তালে তালে সমাজের নানা অনিয়ম অসংগতি তুলে ধরা হয়। মাদ্রিদে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে এলাহী এবং রমিজ উদ্দিন এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি নারী পুরুষ শিশু কিশোর এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। তারা বলেন এধরণের অনুষ্ঠিত মনে প্রশান্তির পরশ এনে দেয়, এধরণের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি আরও বেশি বেশি তুলে ধরা হলে নতুন প্রজন্মের শিশুরা দেশীয় শিল্প সংস্কৃতি বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবে পাশাপাশি প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি বিকাশে ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।
ভালিয়েন্তে বাংলা’র সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে এলাহী বলেন, প্রবাসে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়িয়ে তোলা ও নিজ দেশের সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার এটা একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। আমরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ-উপভোগের সঙ্গে সব দেশের অভিবাসীদের কাছে নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরেছি।আজকের এই পিকনিকে বাংলাদেশ ,আফ্রিকা,মরক্কো,আলজেরিয়া ,কলম্বিয়া সহ ২৫ টি দেশের প্রবাসীরা অংশ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশি নারী নেত্রী আফরোজা রহমান বলেন, অনেক দিন পর একটি সুন্দর দিন কাটল মাদ্রিদে বসবাসরত সব দেশের অভিবাসীদের। আমরাও সুযোগ পেলাম বাংলাদেশকে তুলে ধরার।
জানা যায় মাদ্রিদে বসবাসরত অভিবাসীদের নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর এ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনা সুফিয়া জাদুঘর পরিচালনা কমিটি। রেইনা সুফিয়া জাদুঘরকেন্দ্রিক ২৫টি মানবাধিকার সংগঠন একত্রিত হয়ে অভিবাসীদের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।