লকডাউন পার্টি: পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১:৩৮ অপরাহ্ণ, |                          

কোভিড-১৯ লকডাউন চলার সময় আইন ভঙ্গ করে পার্টি করায় পার্লামেন্টে ক্ষমা চেয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রথমে লকডাউন পার্টির অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে পুলিশের তদন্তে জনসনের অপরাধ প্রমাণিত হয়। এরপরই প্রথমে বৃটিশ নাগরিকদের কাছে পরে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া পুলিশ তাকে ৫০ পাউন্ড জরিমানাও করেছে।

ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এমন শাস্তির মুখে পড়া প্রথম বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পুলিশ যদিও আগেই এই শাস্তি ঘোষণা করেছিল। তবে শাস্তি পাওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম পার্লামেন্টের মুখোমুখি হতে হয় জনসনকে। তার সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে বৃটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককেও। পার্লামেন্টে তাদের দুই জনের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী নেতারা।

এমনকি জনসনের নিজের দলের কিছু নেতাও দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু জনসন সেই দাবি আমল দেননি। তবে এবার হাউস অফ কমন্সে ১১ দিন ইস্টারের ছুটির পর বিরোধীদের মুখোমুখি হতে হয় জনসনকে। এতে তিনি নিজের ভুলের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চান।
মঙ্গলবার জনসন বলেছেন, আমি আবার ক্ষমা চাই। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানুষ আরও বেশি প্রত্যাশা করতেই পারেন। তবে কার্যালয়ে জমায়েতের ফলে যে করোনাবিধি ভঙ্গ হচ্ছে, তা তিনি বুঝতে পারেননি। আমি আবার বলছি, এটা আমার ভুল। আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি। উল্লেখ্য, হাউস অফ কমন্সে জনসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু তার দলের নেতারাই প্রশ্ন তুলেছেন, মানুষ যখন করোনার কারণে ঘরবন্দি হয়ে বসে আছে, তখন প্রধানমন্ত্রী পার্টি করছেন, এটা মেনে নেয়া যায় না।

জনসন ইতিমধ্যেই ৫০ পাউন্ড জরিমানা দিয়েছেন। কিন্তু লন্ডন পুলিশের তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তারা জনসনের বিরুদ্ধে লকডাউনের সময় পার্টি করার আরো অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে। তাছাড়া তিনি পার্লামেন্টকে বিপথচালিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ, জনসন পার্লামেন্টে দাবি করেছিলেন, তিনি কোনো আইন ভাঙেননি। এই বিষয়টি নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। এই আচরণবিধি ভাঙার ঘটনা প্রমাণিত হলে মন্ত্রীরা সাধারণত পদত্যাগ করেন।