ইসরায়েলের তেল আবিবে গোলাগুলি, বন্দুকধারীসহ নিহত ৩

প্রকাশিত: ৩:১৪ পূর্বাহ্ণ, |                          

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরের এক মদের দোকানে গোলাগুলির ঘটনায় ২ জন নিহত ও আরও ৩ জন আহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হামলাকারী বলে কথিত এক বন্দুকধারী নিহত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই হামলাকারী তেল আবিবের জনাকীর্ণ প্রধান একটি সড়কের এক মদের দোকানে প্রবেশ করে গুলি শুরু করে, এতে ৫ জন হতাহত হওয়ার পর সে পালিয়ে যায়।

এ নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলে এ ধরনের চতুর্থ হামলার ঘটনা ঘটল। এর আগের ঘটনাগুলোতে আরও ১১ জন নিহত হয়। এসব ঘটনায় ইসরায়েলি আরব ও ফিলিস্তিনিরা জড়িত ছিল।

তেল আবিবের অন্যতম ব্যস্ত এই দিজেনগফ সড়কটি এর মদের দোকান ও রেস্তোরাঁর জন্য বিখ্যাত বলে জানিয়েছে বিবিসি।

টাইম অব ইসরায়েল জানিয়েছে, দিজেনগফের ইলকা বারে হামলার ঘটনাটি ঘটে।

হামলার পর ইসরায়েলি পুলিশের হাজারেরও বেশি সদস্য, সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স এবং দেশটির শিন বেইত গোয়েন্দা বিভাগ হামলাকারীর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার টানা অভিযানের পর শুক্রবার ভোররাতে তেল আবিবের দক্ষিণে জাফা এলাকার একটি মসজিদে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবর্ষণকারীর খোঁজ পায় তারা।

শিন বেইত জানিয়েছে, এখানে গুলি বিনিময়ের সময় হামলাকারী নিহত হয়।

এই হামলাকারীকে ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহর থেকে আসা ২৮ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি বলে বর্ণনা করেছে শিন বেইত। সে অবৈধভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছিল বলে জানিয়েছে তারা।

স্পটলাইট লাগানো হেলিকপ্টারের সহয়তায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী জাফার ওই সড়কে হামলাকারীর খোঁজে অভিযান চালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যানটস বলেছেন, এই ‘সন্ত্রাসের ঢেউয়ের’ বিরুদ্ধে অভিযান ইসরায়েল আরও জোরদার করবে এবং হামলাকারী ও তাদের যারা পাঠিয়েছে সবাইকে ‘ব্যাপক মূল্য’ দিতে হবে।