আফগানিস্তানে যত তাড়াতাড়ি শেষ করবো তত ভালো

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, |                          

কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ আগস্টেই থাকছে যুক্তরাষ্ট্র। সেনা প্রত্যাহার ও উদ্ধার অভিযান সমাপ্তির প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যত দ্রুত তারা এটা (কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহার) শেষ করবেন, তত ভালো।

বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো বাইডেন প্রশাসনের উপর সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ সময়সীমা আর বাড়েনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বেশ কিছু মার্কিন সেনাকে ইতোমধ্যে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এতে দেশ ছাড়াতে ইচ্ছুক আফগানদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়নি।

গত ১৫ আগস্ট কাবুলের ক্ষমতায় আসে তালেবান। এরপর থেকে এ পর্যন্ত নয় দিনে ৭০ হাজার ৭০০ লোককে কাবুল থেকে বিমানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

জো বাইডেনের এ ঘোষণা আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি)-এর প্রধানের সঙ্গে তালেবান নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারের একটি বৈঠকের খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ পায়। ওই বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছিল, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে, সেটা সহজেই অনুমেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো ৩১ আগস্টের নির্দিষ্ট সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানালেও তা জোর গলায় প্রত্যাখ্যান করে আসছে তালেবান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।

এ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে নতুন আরেকটি ইস্যু সামনে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কাবুলে ইসলামিক স্ট্যাট বা আইএসের হামলার ঝুঁকি আছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘লোকজনকে বের করে আনতে সহায়তা করছে তালেবান।’ তবে তালেবানদের তাদের কাজের ভিত্তিতে বিচার করার জন্যও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন।

তিনি বলেন, ‘তালেবানের কথা আমরা কেউই নিচ্ছি না।’ বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান আইএস (ইসলামিক স্ট্যাট) হুমকির মধ্যে কাবুল থেকে বিমানে আফগানদের সরিয়ে নেয়ার অভিযান দ্রুতই শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, যদি দেশটিতে তারা বেশিদিন থাকেন, তাহলে আইএস হামলার ‘যথেষ্ট ঝুঁকি’ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণায় বহু আফগান যে নাখোশ ও হতাশ হবেন, এতে কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়। কারণ, অনেক আফগান দেশ ত্যাগ করে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের আশপাশে অবস্থান করছেন। তাদের সবাইকে এ সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়তো সম্ভব হবে না।