মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেছেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার মধ্যে দিয়ে জুলাই শহিদদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানাতে হবে। ১৬ জুলাই ২০২৪-এ বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক অন্যতম চরম মুহূর্ত ঘটে। এই দিনটি ছিল সেই ভয়াবহ “জুলাই গণহত্যা” আন্দোলনের সেঞ্চুড়ির সূচনা। যা চাকুরী‑কোটা সংস্কার নিয়ে শুরু হয়ে জাতীয় গণপ্রতিক্রীয়ায় রূপ নেয়।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নিহতের আত্মদানের মাধ্যমে আমরা বৈষম্যহীন একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান আগামী প্রজন্মের কাছে আজীব ইতিহাস হয়ে থাকবে।
তিনি বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে সরকারি মদন মোহন কলেজ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ দিবস ২০২৫ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জুলাই শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য এর সভাপতিত্বে এবং সরকারি মদন মোহন কলেজ বিএমটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান লে. মনিরুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সরকারি মদন মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সর্ব্বানী অর্জ্জুন। অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক জোট সিলেটের সমন্বয়ক মো. ফরিদ আহমদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মদন মোহন কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো. আলী হাসান পারভেজ।
বক্তব্য রাখেন মদন মোহন কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হোসনে আরা কামালী, সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
ছাত্রদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সরকারি মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি কামরান উদ্দিন অপু, সরকারি মদন মোহন কলেজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিলেট মিজানুর রহমান। কবিতা আবৃত্তি করেন সাধারণ বীমা কর্পোরেশন সিলেট জোনাল হেড মহিবুল ইসলাম ফারুক।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই-গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জুলাই শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য মুহাম্মাদ যুননুরাইন। বিজ্ঞপ্তি