মিয়ানমারে রক্তবন্যা এড়াতে ব্যবস্থা নিন: জাতিসংঘের দূত

প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, |                          

মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়ন বেড়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে সেখানে রক্তবন্যা আসন্ন বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শানার।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে তিনি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ চালাতে সক্ষম নয়; যে কারণে দেশটির পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হবে।

১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদের রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে শানার বলেন, সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সব কিছুকে বিবেচনায় নিন। এশিয়ার কেন্দ্রে বহুমাত্রিক বিপর্যয় রোধ করতে, মিয়ানমারের জনগণের জন্য যা উপযুক্ত এবং যেটি সঠিক সেটিই করুন।

জাতিসংঘের এ দূত বলেন, আসন্ন রক্তবন্যার মতো পরিস্থিতি উল্টে দিতে পরিষদের উচিত সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা বিবেচনায় নেওয়া।

মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা মারাত্মক আকার ধারণ করায় যুক্তরাজ্যের অনুরোধে বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠক হয়।

এদিকে মাস দুয়েক আটক থাকার পরও মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেতা অং সান সু চির স্বাস্থ্য ভালো আছে।

বুধবার সু চির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে তার আইনজীবী মিন মিন সোয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন।

যদিও দেশটির জান্তা সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে, তবু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস ধরপাকড় বন্ধ নেই।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫২০ জন নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সেনাবাহিনী শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চিকে কোথায় রেখেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে এবং ভার্চুয়ালি তাকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে।

এদিকে সু চি তার আইনজীবীদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে চাইছেন। কিন্তু সেনাবাহিনী তাকে সে অনুমতি দিচ্ছে না।

ভিডিওকলে পুলিশের উপস্থিতিতে সু চি তার আইনজীবীদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে রাজি নন বলে জানান আইনজীবী সোয়ে।

তিনি বলেন, আম্মে (যার অর্থ মা, সু চিকে এই নামেই ডাকা হয়)-কে দেখে সুস্থ আছেন বলেই মনে হয়েছে। তাকে দেখতে ভালো লাগছিল।

অভ্যুত্থানের পর সু চির বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে, শুধু সেসব নিয়েই এদিন কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।

৭৫ বছরের সু চির বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে ছয়টি ওয়াকিটকি আনা এবং বেআইনি যোগাযোগের জন্য সেগুলো নিজের কাছে রাখার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জারি করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগেও মামলা হয়।

এ ছাড়া সর্বশেষ দুটি সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনী সু চির বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণের অভিযোগ করেছে।

আগামী বৃহস্পতিবার সু চির মামলার পরবর্তী শুনানির দিন।