ইফতার-ইতিকাফে নিষেধাজ্ঞা সৌদির পবিত্র দুই মসজিদে

প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, |                          

রমজানের সময় পবিত্র নগরী মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে ইফতারে জনসমাগম এবং ইতিকাফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরবের সরকার। সৌদি গ্যাজেটের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে ইফতার এবং ইতিকাফ অনুষ্ঠিত হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার। পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পরিষদের প্রধান শেখ আব্দুল রহমান আল-সুদাইস বলেছেন, মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে গ্র্যান্ড মসজিদের মুসল্লিদের ইফতার এবং রাতের খাবার দেওয়া হবে। মসজিদে নববীতে সেহরির জন্য খাবার বিতরণের অনুমতি দেওয়া হবে না। চলতি বছরের রমজানের পরিকল্পনার জন্য আয়োজিত দুই মসজিদের পরিচালনা পরিষদের বার্ষিক বৈঠকে এসব ব্যবস্থা নেওয়ার ঘেষণা দিয়েছেন শেখ সুদাইস।

বৈঠকে তিনি বলেন, রমজানের সময় পূর্ব-সতর্কতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধের দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। এছাড়াও আরো যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে; তার মধ্যে রয়েছে— করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ, সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন এবং মাস্ক পরা। হজযাত্রী ও মুসল্লিদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি গ্যাজেট।

শেখ সুদাইস বলেছেন, পরিচালনা পরিষদ হজযাত্রী এবং মুসল্লিদের গ্রহণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, পবিত্র কাবার চারপাশ প্রদক্ষিণ কেবলমাত্র ওমরাহযাত্রীদের জন্য নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরের পাঁচটি স্থান এবং এর পূর্বপ্রাঙ্গণ নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকবে।

মসজিদ পরিচালনা পরিষদের প্রধান বলেছেন, পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে অনুবাদক নিয়োগ দেওয়া হবে; যারা মুসল্লিদের প্রশ্ন আলেমদের কাছে পৌঁছে দেবেন। প্রশ্ন অনুযায়ী আলেমদের ফতোয়া অনুবাদ করবেন তারা। শুক্রবারের জুমআর খুতবার সময় ইশারা ভাষার দোভাষীরাও উপস্থিত থাকবেন।

সৌদি আরবের সরকার আগামী ১৭ মে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত রাখায় দেশটির বাইরের পরিদর্শকরা ওমরাহ পালন করতে পারবেন না। দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (জিএসিএ) বলছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনরায় খুলে দেওয়া হবে এবং রমজানের পর আগামী ১৭ মে থেকে পুনরায় আন্তর্জাতিক বিমানের ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।

আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত বছর সৌদি আরবের সরকার হজযাত্রীদের সংখ্যা একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনে। প্রত্যেক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মানুষ হজ পালনের অনুমতি পেলেও গত বছর সেই সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার।

সাত মাসের বিরতি দিয়ে গত বছরের অক্টোবরে ওমরাহ পালনে করোনাভাইরাসের নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শুধুমাত্র দেশটির নাগরিক এবং বাসিন্দারা ওমরাহ পালনের অনুমতি পান। যদিও সেই সংখ্যা দিনে ৬ হাজারে নামিয়ে আনা হয়।