ইনশাআল্লাহ, কোনো একসময় তিস্তা চুক্তি হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:০০ অপরাহ্ণ, |                          

ইনশাআল্লাহ, কোনো একসময় তিস্তা চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, তিস্তা নিয়ে আমরা সব সময় আশায় বুক বেঁধে আছি।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ আশার কথা জানান ড. মোমেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিংয়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগে দুই দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির বিষয়ে দুইপক্ষ একমত পোষণ করে এবং মনমোহন সিংয়ের সফরেই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় সেটি আটকে যায়।

কিন্তু গত ১৩ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিস্তা চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেছিলেন, তিস্তা তো অলরেডি ১০ বছর আগে চুক্তি হয়ে গেছে। বাস্তবায়ন হয় নাই। তিস্তা চুক্তি ১০ বছর আগে পাতায় পাতায় সই হয়েছে। ডকুমেন্টও উভয়পক্ষ…। ভারত সরকার আমাদের বলেছে, আগে যে চুক্তি হয়েছে সেটা স্ট্যান্ডবাই। তারা এটা গ্রহণ করে এবং তার থেকে কোনো ব্যত্যয় হয়নি। কী কারণে যে বাস্তবায়ন হয় নাই, আমরা তো সেটা জানি।

১৩ মার্চের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, আমি যেটা বলেছি- তিস্তা খসড়া চুক্তির প্রতিটি পাতায় সই করা আছে। কিন্তু এখনো বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়নি। বাস্তবায়ন হয়নি। কেন হয়নি- কারণটা আপনারা জানেন, আমিও জানি।

বাংলাদেশ সরকার তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতকে চাপে রেখেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, যে খসড়াটি সই করা আছে ভারত সরকার কখনও সেটা বাতিল করে নাই। তিস্তা নিয়ে তারা এখনো একমত, এটা হবে। তাদের কিছু অসুবিধার কারণে এখনো চূড়ান্ত করতে পারছে না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমরা ভারতকে চাপে রেখেছি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় পর্যায়ের টানা দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে গত ১৭ মার্চ থেকে, যা ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।