ইরাক ভ্রমণে পোপ

প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২১ | আপডেট: ৪:৫৯:অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২১

খ্রীষ্টধর্মের প্রচার এবং এই ধর্মের মানুষদের সুরক্ষার জন্য ইরাক ভ্রমণে পোপ ফ্রান্সিস। রয়টার্স সূত্রে খবর, এই মুহুর্তে বাগদাদে রয়েছেন পোপ। এটাই তার প্রথম ইরাক সফর। করোনার কারনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে গৃহবন্দি রেখেছিলেন। ইরাকে সংখ্যালঘু খ্রীষ্টানদের বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাদেরকে বারে বারে টার্গেট করছে সন্ত্রাসবাদীরা। ইরাকের নাজাফ শহরে প্রচুর খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। পোপের সঙ্গে আলোচনা করে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু আল সিস্তানি।

পোপ হিসাবে বারবারই ব্যতিক্রমী কাজ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। কয়েক শতকের প্রথা ভেঙে পোপ চার্চ পরিচালন সমিতিতে এক মহিলাকে সদস্যপদ দিয়েছিলেন। সমকামিতা নিয়েও মুক্তমনের প্রমাণ দিয়েছিলেন পোপ। পোপ জানিয়েছিলেন, ধর্ম কখনই পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে না। ধর্মের কাছে প্রতিটি মানুষই সমান। এতদিন পর্যন্ত যারা এই কাজকে সমর্থন করেন নি তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন পোপ। তার এই ভ্রমণের ফলে ইরাকের খ্রীষ্টধর্মের মানুষরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন বলে মনে করছেন সকলেই। নিজেকে শান্তির দূত হিসাবে বর্ননা করে পোপ বলেন, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই বিভিন্ন ধর্মের মানুষরা রয়েছেন। তাদের সকলকেই যোগ্য সম্মান করা উচিত। ইরাকে যে ধরনের আক্রমণের মুখে খ্রীষ্টধর্মের মানুষরা পড়েছে তাতে তিনি উদ্বিগ্ন। দ্রুত সেখানে শান্তি ফিরে আসুক এমনটাই চান তিনি। আল সিস্তানি তাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, আগামীদিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে তারা খেয়াল রাখবেন। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে তারা লড়াই করবেন।