পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় গ্রীস – বাংলাদেশ কূটনীতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, |                          

গ্রীস প্রতিনিধি.জালালাবাদ এসোসিয়েশন গ্রীস এর আমন্ত্রণে ২৯ অক্টোবর ২০১৯ বিশ্ব সিলেট উৎসবে যোগ দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

তিনি ঐদিন সকালে গ্রীক সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন বিষয়ক অনুষ্ঠানে যোগদেন।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে কূটনীতিক সম্পর্কের উন্নয়নে একমত পোষণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও চারুকলা ইনস্টিটিউট এর সাথে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় গত
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন গ্রীসের নব-নিযুক্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত দিনোইসিওস কিভেতোস।
এসময় মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন বাংলাদেশ এবং গ্রীসের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ঢাকায় গ্রীসের আবাসিক মিশন চালু করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বলেন
বাংলাদেশের মানুষ প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ব্যাপারে জানতে অনেক আগ্রহী সব সময়।
গ্রীসে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মো.আশুদ আহমদ বলেন বাংলাদেশে গ্রীক সরকারের
মিশন ঢাকায় চালু হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন গ্রীসে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের পরিবার গ্রীসে নিয়ে আসতে ভারতে যেতে হবেনা। সকল ধরনের প্রয়োজনীয় কাজ ঢাকাতে সম্পন্ন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য গ্রীস জালালাবাদ এসোসিয়েশনের একজন দায়িত্বশীল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনের কারণে গ্রীস বাংলাদেশের সম্পর্ক জড়ানো হয়েছে। এর ইতিহাস অনেকেই স্বীকার করতে চান না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যার যার মত উপস্থাপন করতেছেন এটা দুঃখজনক। সিলেট উৎসবে গ্রীসে বাংলা স্কুলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে একটি স্মারক ও স্মারকলিপি প্রদান করলে মাননীয় মন্ত্রী ঐদিন বলেছিলেন ইউরোপে কোন স্কুল হলে গ্রীসে প্রথম স্কুল হবে এবং তিনি তার কথা রেখেছেন মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গ্রীসে সরকারি ভাবে স্কুল ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ লক্ষ্য করা যাচ্ছে যাহারা মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন কে কেন্দ্র করে দিনরাত বিরোধিতা করেছিল তাহারা স্কুল কমিটিতে স্থান পেতে জোর তদবির চালাচ্ছে। সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রবাস বন্ধু মো. জসিম উদ্দিন তাদেরকে চিহ্নিত করে দূতাবাসের প্রটোকল বন্ধ রেখে ছিলেন। প্রায় তিন মাস পর জাতীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসম্মুখে ভুলের জন্য ক্ষমা স্বীকার করে প্রটোকল নিয়েছিলেন। আবার তারা মন্ত্রী মহোদয় ও জালালাবাদের অবদান মুছে দিতে চায় । জালালাবাদের কর্মীরা বেঁচে থাকতে তা হতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি আরো বলেন দুঃখ লাগে আজ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দূতাবাসের অতিথি হতে চায় তারা যদি উপকৃত সাংবাদিক হত ঐদিন কেন মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় নাই। তবে ভালো লাগে দেরিতে হলেও মন্ত্রীর মর্যাদা বুঝতে পেরেছে ।
জালালাবাদ কর্মী আরো বলেন বর্তমান রাষ্ট্রদূত একজন সাদা মনের মানুষ তাই কান মন্ত্র দিয়ে ভুল ইতিহাস উপস্থাপন করছেন তার কাছে। তা আমরা সবই বুঝি সময় কথা বলবে।