ইমরান খানের সফর: করোনায় মৃতদের পুড়িয়ে সৎকারের নিয়ম বাতিল শ্রীলংকায়

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১ | আপডেট: ১:২১:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের মরদেহ বাধ্যতামূলক দাহ করার নীতি থেকে সরে এসেছে শ্রীলংকা।

সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এই আদেশ দেওয়া হয়েছিল দাবি করে সমালোচকরা বলছেন, এতে ধর্মগুলোর প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়নি।

ইসলামে মানুষের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হারামত। কিন্তু শ্রীলংকা সরকারির যুক্তি ছিল, মরদেহ মাটি দেওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানি দূষিত হয়ে যেতে পারে।

সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির খবর বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফরের পরেই দেশটির সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কারণ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) অধিবেশনে পাকিস্তানের সমর্থন চাচ্ছে শ্রীলংকা।

মুসলমানদের ওপর নিপীড়নসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নতুন একটি প্রস্তাবের কথা ভাবছে ইউএনএইচআরসি।

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে ও ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধে হতাহতদের ন্যায়বিচারে শ্রীলংকার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

গৃহযুদ্ধে এক লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু তামিল জনগোষ্ঠী। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সদস্য দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছে শ্রীলংকা।

মরদেহ পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য করার ঘটনায় ইউএনএইচআরসিসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছে দেশটি।

অভিযোগে বলা হচ্ছে, মুসলমান, ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ও কিছু সংখ্যক বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পরিবার এবং আক্রান্তদের ধর্মীয় অনুভূতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে শ্রীলংকা।