পিলখানা ট্র্যাজেডি: নিহতদের শ্রদ্ধায় স্মরণ

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, |                          

বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীদের প্রধান, বিজিবি মহাপরিচালক এবং স্বজনরা বনানীর সামরিক কবরস্থানে ফুল দিয়ে নিহত শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে নিহতদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পর এক মিনিট নীরবতা পালন করে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহতদের কবরে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমানবাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিহতদের প্রতি স্যালুট প্রদান করেন। পরে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এর পর শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে তারা গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেননি।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহ চলাকালে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।

আইএসপিআর জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সব সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে সবস্তরের সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।

আর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবির সব মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।