![ব্রিটেনে ১৭ লাখের বেশি মানুষ এখন বেকার](https://sylhetnewsworld.com/wp-content/uploads/2021/01/300D702A-1AB4-49CF-925D-39EF2341572D.jpeg)
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ব্রিটেনে চাকরির বাজারে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে বেকারত্বের এই হার ৪ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
দেশটির ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৭ লাখ ২০ হাজার মানুষ এখন বেকার। গত বছর একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা ৪ লাখ ১৮ হাজার বেশি। ২০০৯ সালের পর বেকারের সংখ্যা বাড়ার সর্বোচ্চ হার এটি।
সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে উৎপাদনশিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। দুই সেক্টরে গত বছরের তুলনায় ৫০ হাজার বেশি মানুষ কাজ হারিয়েছেন।
ওএনএসের উপপ্রধান নির্বাহী স্যাম বেকেট বিবিসিকে বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার কখনো এতটা বাড়েনি। তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির শুরুর পর বেতনভুক্ত কর্মীর সংখ্যা ৮ লাখ ২৮ হাজার কমেছে। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনো দেশটিতে কর্মসংস্থানের অবস্থান অনেক ভালো।
কিন্তু ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে চাকরি হারানোর সংখ্যাটা অনেক বেশি।’
স্যাম বেকেট আরও বলেন, বর্তমানে ৪৫ লাখ মানুষ সাময়িক ছুটিতে আছেন, যাঁদের জন্য সরকার স্কিম (ফারলো প্রকল্প) ঘোষণা করেছে। তাঁদের কারণে এখন শ্রমবাজার পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। এই সংখ্যাটা প্রতি হাজারে ১৪ দশমিক ২। আর বয়স বিবেচনায় ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার সবচেয়ে বেশি। তবে ওই তিন মাসে নতুন করে চাকরির ৮১ হাজার পদও তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ‘আমরা যতটা না আশঙ্কা করেছিলাম তার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে এই সংকট। প্রতিটি চাকরি হারানোই দুঃখজনক ঘটনা। যদিও এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) লোকজনকে টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে কোভিডের হাত থেকে রক্ষা করতে চাইছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হলো চাকরির ক্ষেত্রে অনুদান ও ঋণ দেওয়া, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের কাজে রাখতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে সরকারের ফারলো প্রকল্প সহায়তা করবে।’