সোমবার থেকে যুক্তরাজ্য ভ্রমনে যে পরিবর্তন আসছে

প্রকাশিত: ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২১ | আপডেট: ৭:১৮:পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২১

এখনো শনাক্ত হয়নি ‘করোনাভাইরাসের এমন ধরন থেকে দেশকে রক্ষা করতে’ আগামী সোমবার থেকে সব ভ্রমণ করিডর বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ডাউনিং স্ট্রিটে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘‘এই ‍মুহূর্তে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে জনগণকে রক্ষা করতে আমরা দিনের পর দিন নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

‘‘এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ, টিকা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। তাই বিদেশ থেকে ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন দেশে প্রবেশ আটকাতে আমাদের অবশ্যই বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

নতুন নিয়মে বিদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে হলে প্রত্যেককে যাত্রা শুরুর আগেই কোভিড পরীক্ষার ফল ‘নেগিটিভ’ হওয়ার সনদ দেখাতে হবে।

শুধু যাত্রার সময় করোনা ‘নেগিটিভ’ সনদ দেখালেই হবে না। যুক্তরাজ্য প্রবেশের পর অন্তত ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। নতুবা পাঁচ দিন পর আবার কোভিড টেস্ট করিয়ে তার ফল ‘নেগিটিভ’ আসতে হবে।

 

পুরো যুক্তরাজ্য জুড়ে নতুন ওই নিয়ম কার্যকর হবে। সীমান্তে এবং দেশের ভেতর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হবে বলে জানান জনসন।

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের অতি উচ্চ সংক্রামক একটি ধরন শনাক্তের পর সম্প্রতি ব্রাজিলে ভাইরাসের নতুন আরেকটি ধরন শনাক্ত হয়েছে।

ভাইরাসের ওই ধরন দেশে প্রবেশ আটকাতে যুক্তরাজ্য দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশ এবং পর্তুগাল থেকে যুক্তরাজ্য ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শুক্রবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।

যার আওতা বাড়িয়ে এখন বিদেশ থেকে আসা সবার জন্য কোভিড পরীক্ষার ‘নেগিটিভ’ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী সোমবার জিএমটি ০৪:০০ থেকে নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে এবং অন্তত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী জনসন।

শীতে যুক্তরাজ্যে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং মৃত্যু উভয়ই বেড়ে গেছে। দেশটিতে এখন গড়ে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

শুক্রবারও এ রোগে আক্রান্ত ১২,০৮ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যু ৮৭ হাজার ২৯১ জন। এদিন মোট শনাক্ত রোগী ৫৫ হাজার ৭৬১ জন।

কোভিড-১৯ বিশ্বজুড়ে ২০ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নানা দেশে এ রোগের বিরুদ্ধে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও তার প্রভাব বোঝার সময় এখনো আসেনি।

কোভিড সংক্রমণ কম এমন সব দেশ থেকে গ্রীষ্মে ভ্রমণকারীদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। তখন ভ্রমণকারীদের প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিনে থাকারও বাধ্যবাধকতা ছিল না।