করোনাভাইরাস ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’, লন্ডনে জরুরি অবস্থা

প্রকাশিত: ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২১ | আপডেট: ১১:০৪:পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২১

যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরনের সংক্রমণ ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে রোগী উপচে পড়ার ঝুঁকির মুখে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে লন্ডনে।
শুক্রবার লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ‘গুরুতর পরিস্থিতি’র ( মেজর ইনসিডেন্ট) ঘোষণা দেন, যা জরুরি অবস্থা জারির সামিল। এই সময়ে জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সাদিক খান বলেন, ভাইরাসের বিস্তার ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাওয়ায় লন্ডনের হাসপাতালগুলোর শয্যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।

“আমরা গুরুতর পরিস্থিতির ঘোষণা দিচ্ছি। কারণ, আমাদের শহরে হুমকি হয়ে ওঠা করোনাভাইরাসের প্রকোপ সংকটময় মুহূর্তে পৌঁছে গেছে।”

বড় ধরনের কোনও হামলা বা ভয়াবহ দূর্ঘটনা এবং বিশেষত যেসব ঘটনায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি, জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া, মানবজীবন, মানবকল্যাণ, অপরিহার্য সেবা, পরিবেশ কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে সেসব ক্ষেত্রেই সচরাচর ‘মেজর ইনসিডেন্ট’ ঘোষণা করা হয়।

লন্ডনে এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে সুউচ্চ গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় এমন গুরুতর পরিস্থিতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ৭২ জন।

এবার করোনাভাইরাসের তাণ্ডবও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সাদিক খান জানান, লন্ডনের কিছু কিছু জায়গায় ২০ জনে একজন করে ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসেও বেড়ে গেছে চাপ। দিনেই আসা ৯ হাজার কল সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

যুক্তরাজ্য এরই মধ্যেই ফাইজার/বায়োএনটেক এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদ করেছে। শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। তৃতীয় টিকা হিসাবে দেশটি শুক্রবার মডার্নার টিকাও অনুমোদন করেছে।

তারপরও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বাগে আনতে পারছে না দেশটি। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হিসাবে পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাজ্য। সরকারি হিসাবে সেখানে কোভিড-১৯ এ মারা গেছে ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।