ফরাসি নাগরিকত্বের জন্য বরিস জনসনের বাবার আবেদন

প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, |                          

একজন ‘ফরাসি’ হিসাবে ফ্রান্সের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসন।
বৃহস্পতিবার স্ট্যানলি বলেন, ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে তিনি ফ্রান্সের পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াধীনে আছেন।

স্ট্যানলি জনসন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য। যুক্তরাজ্যে ২০১৬ সালের গণভোটে তিনি ইইউ’য়ে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ফ্রান্সের আরটিএল বেতারকে স্ট্যানলি বলেছেন, ফ্রান্সের সঙ্গে দৃঢ় পারিবারিক সম্পর্কের কারণে তিনি ফরাসি নাগরিক হতে চান।

ফরাসি ভাষাতেই ৮০ বছর বয়সী স্ট্যানলি জনসন বলেন, “আমার জানামতে, আমি একজন ফরাসি। আমার মা ফ্রান্সে জন্মেছিলেন, তার মাও পুরোপুরি ফরাসি ছিলেন; এমনকী তার পিতামহও ছিলেন ফরাসি। সুতরাং, আমার কাছে এটি হচ্ছে, ইতোমধ্যেই আমার যা আছে সেটিই ফিরে পাওয়ার দাবি করা। আর এতেই আমার আনন্দ।”

“আমি সবসময় একজন ইউরোপীয়ই থাকব, সেটি নিশ্চিত। কেউ ব্রিটিশ জনগণকে বলতে পারে না: আপনি ইউরোপীয় নন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বন্ধন রাখা জরুরি।” স্ট্যানলি ইইউ’র পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিলেও তার ছেলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ২০১৬ সালের গণভোটে যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়ার পক্ষেই প্রচারের অগ্রভাগে ছিলেন।

বরিস তখন বলেছিলেন, অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক ইইউ থেকে বেরিয়ে যুক্তরাজ্য পুরোপুরি একটি সার্বভৌম দেশ হিসাবে নবদ্যেমে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে।

তবে বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট পরবর্তী নতুন বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদনের পর বরিস জনসনের কণ্ঠে অনেকটা সংহুতির সুরই শোনা গেছে। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় দেশ হিসাবে এটিই ব্রিটেনের সমাপ্তি নয়। বহু দিক থেকেই ইউরোপীয় সভ্যতার দেশ হিসাবে যুক্তরাজ্য সে ধারা অব্যাহত রাখবে।