জানুয়ারির শেষে দেশে আসছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০ | আপডেট: ৬:৩৩:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০

সবকিছু ঠিক থাকলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটটের তৈরি ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসবে জানুয়রির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। টিকা আসবে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে। জন প্রতি দুই ডোজ হিসেবে দেড় কোটি মানুষ পাবে এই ভ্যাকসিন। চার ধাপে সারাদেশে এই টিকা দেয়া হবে। প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন পাবেন ফ্রন্টলাইনাররা। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

দেশে করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে চার ধাপে। জনগোষ্ঠীর ৮০ শতাংশ আসবে এই টিকা কর্মসূচির আওতায়। আর হার্ড-ইমিউনিটি বিকশিত হওয়ায় ২০ ভাগের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনই পরবে না।

প্রথম পর্যায়ের টিকা বিতরণ করা হবে ২টি উপ-ধাপে। প্রথম উপ-ধাপে টিকা পাবেন ফ্রন্টলাইনারা। এমন মানুষের সংখ্যা ৫২ লাখ, যা জনসংখ্যার ৩ শতাংশ। এদের মধ্যে সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা চিকিৎসায় সরাসরি জড়িত কর্মী রয়েছেন ৩ লাখ।

অগ্রাধিকার তালিকায় আছেন একই ধরনের কর্মে নিয়োজিত বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬ লাখ কর্মী। থাকবে নন-কোভিড সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, গাড়িচালকসহ অন্যান্যরাও। এদের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার।

প্রথম ধাপেই আছেন ২ লাখ ১০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রায় সাড়ে ৫ লাখ সদস্য এবং সাড়ে তিন লাখের বেশি সামরিক, আধা-সামরিক ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য।

প্রজাতন্ত্রের ৫ হাজার কর্মকর্তা, কমপক্ষে ৫০ হাজার সংবাদিক এবং ১ লাখ ৮০ হাজারের মত জনপ্রতিনিধি ও সিটি কর্পোরেশনের দেড় লাখ কর্মী রয়েছে অগ্রাধিকার তালিকায়।

প্রথম পর্যায়েই টিকা পাবেন ৬ লাখ ধর্মীয় পেশাজীবী; দাফন ও সৎকারে যুক্ত ৭৫ হাজার কর্মী; ইউটিলিটি সার্ভিসে যুক্ত ৪ লাখ আর ২ লাখ ব্যাংক ও দেড় লাখ বন্দর কর্মী। কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন এমন প্রবাসী শ্রমিকও রয়েছেন অগ্রাধিকার তালিকায়। প্রথম পর্যায়ের দ্বিতীয় দাপে রয়েছেন ষাটোর্ধ ব্যক্তিরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডাক্তার-নার্সরা সরাসরি রোগী হ্যান্ডেল করছেন, টেকনোলজিস্ট তারাও রোগী হ্যান্ডেল করছে, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা, সাংবাদিকরা যারা সব সময়ে ফ্রন্টলাইনে দৌড়াচ্ছে তাদের দেয়া হবে। এটাও চিন্তা করেছে যে শিক্ষকদেরকে দেয়া যায় কি না, ছাত্রদেরকে দেয়া যায় কিনা- যাতে স্কুল-কলেজ খোলা যায়। সর্বোপরি বয়স্ক যারা, তারাও অগ্রাধিকার পাবে।

টিকা বন্টন পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে ১ কোটি ৭২ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে আছেন ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, গণপরিবহন কর্মী, পোষাক কর্মীসহ অন্যরা।

তৃতীয় পর্যায়ে টিকার আওতায় আসবে ৩ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। এর আওতায় থাকবে আগে টিকা পানি এমন শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, অন্তঃসত্ত্বা নারী, রপ্তানী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও গণপরিবহন কর্মী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রথম লট তো অনেক ৫০ লাখ ইউনিট। ২৫ লাখ লোককে দেয়া যাবে। তখন ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা প্রথম মাসেই পেয়ে যাবেন।

একেবারে শেষ পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে বাকি প্রায় ৭ কোটি মানুষকে।