মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক

প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, |                          

রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনায় সোমবার তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আঙ্কারা।

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত অকতাই বলেছেন, মার্কিন এ নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কিছুই যায় আসবে না; বরং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নেতৃত্বে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও জোরদার হবে। খবর আনাদোলু ও বিবিসির।

এক টুইটবার্তায় তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না তুরস্ক। আমরা মার্কিন এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আশা করি মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পারবে এবং তুরস্কের ওপর আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে।

তুরস্কের পার্লামেন্টের স্পিকার মুস্তফা সেনতপ ও এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিনও পৃথক টুইটবার্তায় এর নিন্দা জানিয়েছেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান ইসমাইল দেমির ও তার তিন সহকর্মীর ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এস-৪০০ কেনার পর থেকেই গত এক বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে তুরস্কের ওই চার কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কোনো সম্পদ থেকে থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

তবে মার্কিন এ নিষেধাজ্ঞাকে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির বরখেলাপ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক। একই সঙ্গে এর নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া ও আজারবাইজান।

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা কোনো কাজে আসবে না। কিন্তু এতে বিপরীত ফল হবে; সম্পর্কের ক্ষতি হবে।

তুরস্ক কূটনীতি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানের পক্ষে। আমরা একতরফা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ মেনে নেব না বলে জানিয়েছে তুরস্ক।

রাশিয়া গত বছর তুরস্কের কাছে স্থল থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিক্রির পর তুরস্ক সেগুলো পরীক্ষাও করে দেখেছে।

তুরস্ক দাবি করছে, এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কারও জন্য হুমকি নয়। কেবল শত্রু মোকাবেলায়ই এগুলো ব্যবহার করা হবে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থাকে হুমকি হিসেবেই দেখছে এবং এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র গত বছরই তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান বিক্রি বন্ধ করা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল।