বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হাত দিবে বাংলাদেশে এমন কারও জন্ম হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, |                          

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হাত দিবে বাংলাদেশে এমন কারও জন্ম হয়নি। প্রতিটা গ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগ যথেষ্ট। প্রধানমন্ত্রীকে লাগবে না, উনার মাথা ফাঁকা রাখি। উনি দেশের উন্নয়নে কাজ করুক। দল আমরা চালাব। আমরা যারা তার সাহাবা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সামলাতে তারাই যথেষ্ট।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত মুজিববর্ষ-২০২০ ও চলমান রাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মরে নাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বেঁচে আছে। তার আদর্শ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়েই বেঁচে আছি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যত তৈরি হচ্ছে, আরেকদিকে পদ্মাসেতুর মতো উন্নয়ন, এজন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা আতঙ্কিত। সেই আতঙ্কেই তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে এবং ভাস্কর্য স্থাপন করতে দিচ্ছে না। এদের প্রতিহত করতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পৃথিবীর সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। মিশর, ইরান, আলজেরিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়াসহ বহু দেশের মসজিদের সামনে ভাস্কর্য রয়েছে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কেন এত গা জ্বলে।

তিনি আরও বলেন, আমি অনুরোধ করব- আপনাদের সব সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সচেষ্ট হোন। এবার আমি দেখেছি কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হাত দেয়ার ফলে গ্রাম-গঞ্জে প্রতিটি উপজেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষ বিশাল বিশাল মিছিল, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছে। এটা ভালো লক্ষণ বটে, তবে এটাকে আরও জোরদার করতে হবে। আর শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে থাকলে হবে না, আমাদের নিজেদের শক্তি দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে। আর গ্রামে-গঞ্জে যেখানেই মৌলবাদীরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলবে সেখানেই প্রতিহত করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু একাডেমির উপদেষ্টা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, মিনহাজুল উদ্দিন মিন্টু, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, সমীরণ রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন।