সমাজবদ্ধ জীবনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য -মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, |                          

মানুষ সামাজিক জীব। তাই মানুষ নিজেদের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করতে পারে না বরং একে অন্যের সহযোগিতা নিতে হয়। আদিম যুগে মানুষ একাকি বসবাস করত। ফলে মানুষ হাজারো রকমের বিপদে-আপদে নিমজ্জিত হতো। অবশেষে যখন একে-অপরের সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তুলল এবং একে-অপরকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতে থাকল, তখন একই স্থানে একাধিক মানুষের বসবাস গড়ে উঠল। তখন থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাস শুরু করল। সংঘবদ্ধভাবে জীবন পরিচালনা করা ইসলামের নির্দেশনা। তাদের কাছে একে-অপরের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। তারা একে-অপরের নিকট বিশ্বস্ত হবে। ইসলামী শরীয়তে মুমিনের পারস্পরিক সম্পর্ক হলো একটি দেহের ন্যায়। দেহের একটি অঙ্গ যেকোনো ধরনের বিপদে পড়ার সাথে সাথে অন্য অঙ্গ তাকে সাহায্যের জন্য তৈরি হয়। অনুরূপ কোনো মুসলমান ভাই যখন কোনো প্রকার বিপদে পড়েন, তখন অপর মুসলমান ভাইয়ের কর্তব্য তাকে সাহায্য করা। কেন না যে মানুষকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন। বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপনে রয়েছে নানাবিধ ঝুঁকি ও বিপদ। জামায়াতবদ্ধ কোনো মানুষ যদি কোনো দোষ-ক্রটি করে বসে তবে জামায়াতের অন্য লোক তাকে সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেবে। জীবন চলার পথের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হলে তা তুলে ধরবে এবং সমাধানও দেয়ার চেষ্টা করবে। মুসলিম জাতি সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং সেই ঐক্যবদ্ধ জামায়াতের ওপর আল্লাহর হাত এবং বিছিন্নতাবাদীদের জন্য জাহান্নাম রয়েছে। যারা জামায়াত-বদ্ধভাবে জীবন-যাপন করে তারা আল্লাহর বিশেষ রহমতের মধ্যে থাকেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) জামায়াতবদ্ধ হয়ে বসবাস করার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা জান্নাতের মধ্যখানে বসবাসের প্রত্যাশা করেন, তারা যেন জামায়াতবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।
জামায়াতবদ্ধতা একটি দেহের মতো। যদি সেখানে মুমিন বান্দা সমাবেত থাকেন। মুমিন বান্দা পরস্পর সহযাত্রী হয়ে একটি গৃহের মতো সুদৃঢ় থাকবে। জামায়াতবদ্ধ সকল মুসলমান একে-অপরের ভাই ভাই। সুতরাং সে অপর ভাইয়ের নিকটে সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকবে। আর এই মুমিন ভাইদের কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ মুমিন বান্দারা একতা ও জামায়াতবদ্ধতার ওপর অবিচল থাকবে। কিন্তু কোনো বান্দা গোমরাহীর ওপর ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না। মুসলিম ভাইয়ের বৈশিষ্ট্য হলো তারা একে-অপরের প্রতি দায়িত্ববান। সকলে সকলের প্রতি দায়িত্ববান আচরণ করবে। তারা কেউ কাউকে অসম্মান করবে না, জুলুম করবে না, লজ্জিত করবে না, অযথা রেগে যাবে না। কোনো ভাই অসুস্থ হলে অন্যের দায়িত্ব পড়ে যায় তাকে সুস্থ করা ও চিকিৎসা করা, কষ্ট পেলে সান্ত¡না দেয়া, বিপদে সাহায্য করা। একজন বন্ধু কোনো বিপদে পড়লে তাকে তা থেকে উদ্ধার করা। যদি তার পরিবার বিপদে পড়ে, তবে সামাজিকভাবে সাহায্য করা। যদি কোনো মুসলিম পারস্পারিক সাহায্য না করে তবে তার পরকাল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকী একটা পশু বিপদে পড়লেও এ সমাজের মানুষের কর্তব্য হলো তাকে উদ্ধার করা। উত্তম সমাজে প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতিদায়িত্বশীল হবে এবং একে-অপরের জান-মাল ও ইজ্জত রক্ষার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবে। মুসলিম উম্মাহ জামায়াতবদ্ধ জীবন-যাপন করবে। তা যেকোনো জনপদেই হোক না কেন। এমনকী যদি কোনো সমাজে বা জনপদে মাত্র ৩ জন লোকও থাকে; তবে তারা যেন একজনকে নেতা বানিয়ে পরামর্শের আলোকে জীবন পরিচালনা করে। এখন মুসলিম সমাজের ঐক্যের অভাবই বেশি পরিলক্ষিত হয়। মুসলিম জাতি এক প্রাণ, এক দেহ-এই চেতনাবোধ দিনে দিনে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে আসছে। ইসলামে মুসলমানদের পারস্পরিক সর্ম্পক ভ্রাতৃত্বের। এ সম্পর্কের ভিত্তি ইসলামের একটি স্তম্ভের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যে কেউ তার স্বীকৃতি দেবে সেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবে। এই ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য বজায় রাখার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) জোর তাগিদ দিয়েছেন। কুরআন ও হাদীসে বহু জায়গায় জামায়াতবদ্ধ জীবনে গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। সমাজবদ্ধ জীবন-যাপনকারী ব্যক্তি একাকি জীবন-যাপনকারীর ব্যক্তির তুলনায় অনেক গুণ বেশি নিরাপদ। জামায়াতবদ্ধভাবে জীবন-যাপনের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সমবেতভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ কর এবং পরস্পরে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা তোমাদের ওপর আল্লাহর সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরে শক্র ছিলে। অত:পর আল্লাহ তোমাদের অন্তরসমূহে মহববত পয়দা করে দিলেন। তোমরা তার অনুগ্রহে পরস্পরে ভাই ভাই হয়ে গেলে। আর তোমরা অগ্নি গহ্বরের কিনারায় অবস্থান করছিলে। অত:পর তিনি তোমাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করলেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় আয়াতসমূহ ব্যাখ্যা করেন, যাতে তোমরা সুপথপ্রাপ্ত হও।’ (আলে ইমরান : ১০৩)।
এখানে আল্লাহর রজ্জু বলতে পবিত্র কুরআনকে বোঝানো হয়েছে। এই আয়াত অনুসারে আমরা যদি জীবন পরিচালনা করি তাহলে আমাদের মাঝে আজ যে মতভেদ, পরস্পর বিভক্তি তা দূর হবে। আমাদের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত থাকবে। জাতীয় ও ধর্মীয় ঐক্য সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে। এ ঐক্যই আমাদের এক উম্মতে পরিণত হওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করবে, ফলে আমরা এক শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারব। এজন্য আমাদের আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে মহানবী (সা.)-এর পরিপূর্ণ অনুসরণ করা, তার শিক্ষানুসারে চলা। ঐক্য সম্পর্কে রাব্বুল আলামিন কুরআনের অন্যত্র এরশাদ করেন, ‘তোমরা সেসব লোকদের মতো হয়ো না, যাদের কাছে স্পষ্ট ও প্রকাশ্য নিদর্শন আসার পরও তারা বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং নানা ধরনের মতানৈক্য সৃষ্টি করেছে, তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫)। মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে-অপরের সহযোগী। তারা ভালো কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। সালাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন-যাপন করে। এদেরই ওপর আল্লাহ তায়ালা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী’। (সূরা তাওবাহ : ৭১)। হযরত হারেছ আশ‘আরী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ইয়াহ্ইয়া ইবনু যাকারিয়া (আ.)-কে পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন : (অত:পর দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ করেন)। তাতে রয়েছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদেরকে পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছি, আল্লাহ আমাকে যেগুলোর নির্দেশ দিয়েছেন- (১) জামায়াতবদ্ধ জীবন যাপন করা, (২) আমীরের নির্দেশ শ্রবণ করা, (৩) তাঁর আনুগত্য করা, (৪) হিজরত করা ও (৫) আল্লাহর পথে জিহাদ করা। কেন না যে ব্যক্তি জামায়াত থেকে এক বিঘত পরিমাণ বের হয়ে গেল, সে তার গর্দান থেকে ইসলামের গ-ি ছিন্ন করল যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। আর যে ব্যক্তি মানুষকে জাহেলিয়াতের দিকে আহ্বান জানাল, সে জাহান্নামীদের দলভুক্ত হলো।
তখন এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! যদিও সে সালাত আদায় করে এবং সিয়াম পালন করে? তিনি বললেন, যদিও সে সালাত আদায় করে এবং সিয়াম পালন করে। অতএব তোমরা আল্লাহর প্রদত্ত নামে ডাকো। যিনি তোমাদেরকে মুসলিমীন, মুমিনীন ও ইবাদুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা) নামে নামকরণ করেছেন’। (তিরমিযী; আহমাদ; ছহীহুল জামে; যিলালুল জান্নাহ; ইবনু খুযায়মাহ; হাকেম; শু‘আবুল ঈমান; ছহীহ তারগীব; মুসনাদু ত্বায়ালেসী) রাসূলে আকরাম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন-যাপন কর, সংঘবদ্ধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবন-যাপন করো না, কারণ বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করলে শয়তানের কুপ্ররোচনায় আকৃষ্ট হয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।’ (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি ভারী (গুরুত্বপূর্ণ) জিনিস ছেড়ে যাচ্ছি। এর একটি আল্লাহর কিতাব, যেটি ‘হাবলুল্লাহ’ বা আল্লাহর রজ্জু। যে এর অনুসরণ করবে, সে হেদায়াতের ওপর থাকবে; আর যে একে ছেড়ে দেবে, সে পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে’। (মুসলিম; মিশকাত) রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া, অনুগ্রহ, মায়া-মমতার দৃষ্টিকোণ থেকে তুমি মুমিনদের দেখবে একটি দেহের মতো। যদি দেহের কোনো একটি অংশ আহত হয়ে পড়ে তবে অন্যান্য অংশও তা অনুভব করে।’ (সহীহ বোখারী ও মুসলিম)।
রাসূল (সা.) বলেন, ‘তুমি মুমিনদেরকে তাদের পারস্পরিক সহানুভুতি, বন্ধুত্ব ও দয়া-অনুগ্রহের ক্ষেত্রে একটি দেহের মতো দেখবে। যখন দেহের কোনো অঙ্গ অসুস্থ হয় তখন সমস্ত শরীর নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়’। (বুখারী; মিশকাত)। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জান্নাতের সর্বোত্তম অংশে বসবাস করে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরে।’ (তিরমিজি) হযরত নু‘মান ইবনু বাশীর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জামায়াতবদ্ধভাবে বসবাস রহমতস্বরূপ এবং বিচ্ছিন্নতা আযাবস্বরূপ’। (ছহীহাহ; ছহীহুল জামে; আলবানী, যিলালুল জান্নাহ; শু‘আবুল ঈমান)। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দু:খ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতে তার দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ক্রটি গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ক্রটি গোপন রাখবেন। আল্লাহ ততোক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা নিজ ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকে। (মুসলিম; তিরমিযী; আবুদাউদ)।
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মেষপালের নেকড়ে বাঘের মতো শয়তান মানুষের জন্য নেকড়ে বাঘস্বরূপ। যে মেষপালের মধ্য থেকে একটি মেষ দল থেকে আলাদা থাকে অথবা খাদ্যের সন্ধানে একাকি দূরে চলে যায় অথবা যে মেষ অলসতাবশত দল ছেড়ে এক প্রান্তে পড়ে থাকে, সেটিকে নেকড়ে বাঘ ওঠিয়ে নিয়ে যায়। সাবধান! তোমরা কখনো জামায়াত ছেড়ে একাকি দুর্গম পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথে চলবে না। সুতরাং সবসময় জামায়াত তথা মুসলিম জনসাধারণের সঙ্গে থাকবে। (মুসনাদে আহমদ; মিশকাত)। হযরত আবু যার (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামায়াত থেকে এক বিঘত পরিমাণ বের হয়ে গেল, সে তার গর্দান থেকে ইসলামের গ-ি ছিন্ন করল’। (আবুদাউদ; হাকেম; আহমাদ; ছহীহুল জামে; ছহীহ তারগীব; যিলালুল জান্নাহ; মিশকাত)। হযরত আবু যার (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (সা.) হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘একজন অপেক্ষা দু’জন উত্তম।
দু’জন অপেক্ষা তিনজন উত্তম। তিনজন অপেক্ষা চারজন উত্তম। সুতরাং তোমাদের জন্য আবশ্যক হলো জামায়াতবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করা। কেন না আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতকে কখনো হেদায়াত ব্যতীত গোমরাহীর উপরে ঐক্যবদ্ধ করবেন না’। (আহমাদ; যঈফা; যঈফুল জামে; ইবনু আসাকির আলবানী)।
উল্লেখিত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জামায়াতবদ্ধ জীবন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য একান্ত আবশ্যক। সমাজে শান্তি, নিরাপত্তা ও ঝুঁকিমুক্ত থাকতে সমাজবদ্ধ জীবনে বিকল্প নেই। ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য বজায় রাখার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) জোর তাগিদ দিয়েছেন।
জামায়াতবিহীন জীবনযাপন হলো ফেতনাকে আলিঙ্গন করা এবং ধ্বংসের আস্তেকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়া। আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে একতাবদ্ধ জীবন-যাপন করতে কুরআন ও সুন্নাহর ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। লেখকঃ গবেষক ও কলামিস্ট