ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে উদ্বোধন হল প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার

প্রকাশিত: ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, |                          

 

ময়নুল হক ফ্রান্স (প্যারিস) থেকে:

দীর্ঘ দিন ধরে প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মানের পরিকল্পনা চলছিলো তারই বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রশাসনিক কার্যকলাপ, নকশা অনুমোদনের কাজ এবং নির্মাণ শেষে প্যারিসের সেইন্ট ডেনিস মিউনিসিপালিটিতে, সেইন্ট ইনভার্সিটির স্কয়ারে স্থায়ী শহীদ মিনার ৮ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১ দেশ-বিদেশের অতিথিদের উপস্থিতিতে শুভ উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপির প্রেরিত বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেইন্ট ডেনিস মিউনিসিপালিটি প্যারিসের মেয়র মাতিউ হানোতা বলেন এ শহরে আমরা অনেক ভাষা -ভাষী লোক বসবাস করি, এখানে বাংলাদেশি কমিউনিটি একটি ভালো অবস্থানে রয়েছেন। তারা প্রতিবছর ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে একত্রিত হন। বেশ কয়েক বছর ধরে অস্থায়ী শহীদ মিনারে তারা ফুল দিয়ে আসছেন আজ স্থায়ী শহীদ মিনারে ফুলদিয়ে উদ্বোধন হলো। এটা আমাদের সকলের, এটা বিশ্বের। একে অন্যের মধ্যে ভাষা সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে হিসেবে কাজ করবে এই শহীদ মিনার।
অ্যাসোসিয়েশন সিকানু বাঙালি’র প্রধান উপদেষ্টা ও আয়বার মহাসচিব, প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত উল্লাহ ইনু ৫২ ‘র ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের অর্জিত এই মাতৃভাষা ও ইউনেস্কো স্বীকৃত একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত করতে, ফ্রান্সের তুলুজ শহরের পর প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ অত্যন্ত আনন্দের। প্যারিস বন্ধু মরহুম আব্দুল মানিক একুশে ফেব্রুয়ারি পালন প্যারিসে শুরু করেছিলেন আমরা তারও অমর কৃতিত্ব স্মরণ রাখবো।
অ্যাসোসিয়েশন সিকানু বাঙালি’র সভাপতি, স্থায়ী শহিদ মিনারের উদ্যোক্তা সরুফ ছদিওল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাই প্যারিস এর সেইন্ট ডেনিস ইউনিভার্সিটির পাশে আমরা স্থায়ী শহীদ মিনারের জায়গার পছন্দ করেছি। প্রবাসী ভাই-বোনদের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এটা রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডিবিসি টেলিভিশনের সিইও ও প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন
এমন উদ্যোগ সমস্ত বাংলাদেশীদের জন্য গৌরবের, বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি মেলে ধরবে, বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে অন্য উচ্চতায়।
শহীদ মিনার আমাদের আস্থা -ভালোবাসা ও ঐক্যের প্রতীক। ফ্রান্সের তুলুজে স্থায়ী শহীদ মিনারের অন্যতম উদ্যোক্তা ফকরুল আকম সেলিম বলেন,স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ এত সহজ নয়, অনেক ঘাত প্রতিঘাত এড়িয়ে গিয়ে এটা বাস্তবায়ন করতে হয়। প্রথমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে হয়েছে এটা কি এবং কেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাস্তবায়ন করতে হয়, ভাষা সৈনিকদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমদ বলেন ১৯৯৯ সালে প্যারিস অধিবেশনে ১৮৮দেশের সম্মতিতে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। প্রতি বছর ইউনেস্কো সদর দপ্তর প্যারিসে মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

অর্থ সমন্বয়ক টিএম রেজা বলেন প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশ প্রেমের বীজ বপন করতে হলে ভাষা -সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
আগামী ২০২৪ সালে স্থায়ী শহীদবেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে ভাষা আন্দোলনে আত্বদানকারী সকল শহীদদের প্রতি।
ঐতিহাসিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল জমাদার, আয়বার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, সভাপতি ডঃ ইঞ্জিনিয়ার জয়নাল আবেদীন,ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাত্তার আলীর সুমন শাহ আলম, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফ্রান্সের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক সালেহ আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমদ, একুশে উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুব্রত ভট্টাচার্য শুভ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক স্বপন সহ হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আলী হোসেন।ওবায়দ উল্লাহ কয়েছ,এমডি নুর,হোসেন সালাম রহমান, একে আজাদ,আব্দুল কাইয়ুম, আশরাফ আহমদ,
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ,রাজনৈতিক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌকমান্ডো এনামুল হক, উপদেষ্টা সালে আহমেদ চৌধুরী,সহ-সভাপতি শাজাহান সারু, সহ-সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য শুভ, সহ-সভাপতি আলী আজম খান।
সহ-সভাপতি মোতালেব খান, সহ-সভাপতি সোহেলা পারভিন সোভা,প্যারিস নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি হাসান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপ্ন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউন উদ্দিন সিরাজ,সাংগঠনিক সম্পাদক সউকত হায়দার খান বিপ্লব,সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর সাইদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নিগারা আফরোজ খান,আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন আরমান চৌধুরী,দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান সুমন।
উপ প্রচার সম্পাদক মুনসুর আহমেদ,উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোমানা মুনসুর,কার্যকরী কমিটির সদস্য
কামাল মিয়া, রাঙ্গা মুজিব, ও আই রিয়াদ, কামাল পাশা, কামাল সিকদার,ওয়াদুদ খান,মাসুদ পাঠান
মাহাবুব রহমান।
ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হবে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে , বাংলাদেশ দূতাবাস ফ্রান্স ,প্যারিসের স্থায়ী শহীদ মিনারে ও দক্ষিণ ফ্রান্সের পিংক সিটি তুলুজে নির্মিত ফ্রান্সের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনারে।
প্রায় ১লক্ষ্য বাংলাদেশি ফ্রান্সে বসবাস করেন তার মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশির প্যারিসে বসবাস বসবাস করেন । ২০০৪ সাল থেকে প্যারিস বন্ধু মরহুম শহিদুল আলম মানিকের নেতৃত্বে এই দিবসটি উদযাপন করে আসছিলেন প্রবাসীরা এখন স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্চাশিত।
হাজারো প্রবাসী ও ভিনদেশীদের উপস্থিতিতে
স্থায়ী শহীদ বেদীতে পুষ্প স্থাবক অর্পণ করেন
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ,এসোসিয়েশন সিকানু বাঙালি, অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন, একুশে উদযাপন পরিষদ ফ্রান্স, বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বার ফ্রান্স ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ,ফ্রান্স জাতীয় পার্টি,তুলুজ বাংলাদেশ এসোসিয়েশন , নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন, এসাইলেম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সংস্থা, লিগাল এইড, বাংলা অটো স্কুল, ঢাকা বিভাগ অ্যাসোসিয়েশন,সিলেট বিভাগ সমাজ কল্যাণ সমিতি,জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্স,গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার ঐক্য পরিষদ, বরিশাল ডিভিশন অ্যাসোসিয়েশন,বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব,স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠী ফ্রান্স,গোলাপগঞ্জ হাউস, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ইপিএস বাংলা,ইউরো বাংলা প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটি, প্যারিসের স্থানীয় প্রেসক্লাব, প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাব,ফ্রান্স বাংলা প্রেসক্লাব,ইউরো বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স শাখা,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সুন্দরবন সমিতি ফ্রান্স, উত্তরবঙ্গ সমিতি,গাজীপুর জেলা সমিতি,ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগ সমাজ কল্যাণ সমিতি, সিলেট সদর ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ,দুর্গা বাড়ি পূজা উদযাপন পরিষদ,বাংলাদেশ সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ,গোলাপগঞ্জ হেলপিং ফাউন্ডেশন,ঘাতক দালাল নিমূল কমিটি।