ভারতে তৈরী ঔষধ খেয়ে গ্যাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, |                          

ভারতের হরিয়ানার একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে আফ্রিকার দেশ গ্যাম্বিয়াতে অন্তত ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। এতো শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের চারটি কাশির সিরাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করলো ডাব্লিউএইচও।

টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, “দয়া করে এই ওষুধগুলো ব্যবহার করবেন না।”

প্রোমেথাজি়ন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকফ বেবি কাফ সিরাপ এবং মাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ নামের চারটি কাশির সিরাপের সঙ্গে আফ্রিকার ওই শিশুমৃত্যুর ঘটনার যোগাযোগ রয়েছে বলে ধারনা ডাব্লিউএইচও’র।

ডাব্লিউএইচও বলছে, যে ভারতীয় সংস্থা ওই ওষুধগুলো বাজারে এনেছে তারা এখনও ওষুধগুলোর গুণমান ও সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেয়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই চারটি পণ্যের প্রতিটিতেই ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল নামের দূষক পদার্থের মাত্রা গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি। এই পদার্থগুলি নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে বেশি পরিমাণে শরীরে ঢুকলে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যেতে পারে শিশুরা। দেখা দিতে পারে পেটব্যথা, বমি, মূত্রত্যাগের সমস্যা ও কিডনির গুরুতর সমস্যা। এমনকি হতে পারে মৃত্যুও।

এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্র বলছে, এরইমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কেবল গ্যাম্বিয়াতেই ওষুধ রফতানি করেছে সংস্থাটি। অন্য কোনো দেশে এই ওষুধ গিয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ওষুধ নির্মাতা সংস্থাটি।