স্পেনে বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যুদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত: ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ, |                          

 

সিদ্দিকুর রাহমান, স্পেন থেকেঃ
স্পেনের বার্সেলোনায় মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (৩১) নামে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মুত্যু হয়েছে বলে পাকিস্তানি এক যুবকের মাধ্যমে জানতে পারে তাঁর পরিবার।
গিয়াস উদ্দিনের মরদেহ বর্তমানে বার্সেলোনার (Tanatori – Crematori Àltima Figueres,Girona) তে আছে বলে জানা যায় । মৃত যুবক গিয়াস উদ্দিন পটিয়ার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্ধা গ্রামের মোহাম্মদ নবীর বড় ছেলে। নিহতের ছোটভাই আশরাফ উদ্দিন আরমান জানান, গত বুধবার সকালে আম্মুর সাথে বড় ভাইয়ের সর্বশেষ কথা হলেও সারাদিন তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। বুধবার ১২টার সময় তার বন্ধু পাকিস্তানের নাগরিক বিকিকে (ডাক নাম কাউছার) আম্মু ফোন দেন। প্রথমে তিনি সঠিক তথ্য দিতে অস্বীকার করেন। পরে একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইয়া নিহত হয়েছেন বলে রাত ১২ টার দিকে জানান তার পাকিস্তানি বন্ধু। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ওই পাকিস্তানি যুবকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি গিয়াসের পরিবারের কারোর সাথে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গিয়াসউদ্দিন সপরিবারে ওমানে বসবাস করতেন। সেখান থেকে ২০০৭ সালে স্পেনে পাড়ি দেন শিক্ষা ভিসায়। এরপর ২০০৮ সালে তাঁদের পরিবারের অন্য সবাই দেশে ফিরে আসেন। গিয়াসউদ্দিন ওমানে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করছেন। স্পেনের বার্সেলোনায় যাওয়ার পর পড়াশোনার পাশাপাশি গিয়াস একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় কাউছার (বিকি) নামের এক পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য তার পরিবার দেশ থেকে জুলাই মাসে দুই দফায় পাঁচ লাখ টাকা করে মোট দশ লাখ টাকা পাঠায়। চলতি বছর ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে তাঁর দেশে ফিরে আসার কথা ছিল।
অন্য দিকে নিহতের পরিবারের ধারণা, ব্যবসার নাম করে পাকিস্তানি নাগরিক বিকি গিয়াস উদ্দিনকে প্রলোভন দেখিয়ে দশ লাখ টাকা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যায়। এরপর বিকি পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন সবার বড়। সন্তানের মৃত্যুর খবরে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে লাশটা যেন দেশে আনতে পারে, সে আকুতি জানায় তার পরিবার। এ জন্য তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। নিহতের বাবা-মা, ভাই-বোন সে অপেক্ষায় আছেন।
এ বিষয়ে দূতাবাসে জানতে চাইলে দূতাবাসের দূতালয় প্রধান এ টি এম আব্দুর রউফ মন্ডল বলেন আমরা খবর পেয়েছি ইতিমধ্যে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়েছে তার ভাইকে আমরা বলেছি লাশ ফেরতের ব্যাপারে দূতাবাসে একটি লিখিত আবেদন করতে। আবেদন পেলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।