স্বামী-স্ত্রী বিসিএস ডাক্তার, একজনের মামলায় আরেকজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, |                          

শারীরিক নির্যাতনের পর আটকে রাখার অভিযোগে চিকিৎসক স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেন স্ত্রী মিলাদুজ্জামান ইরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিকিৎসক স্ত্রীর করা মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্ত্রী মিলাদুজ্জামান ইরা ৪২তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডার। অন্যদিকে স্বামী মো. টিপু সুলতান ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার। বর্তমানে তিনি গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের আগস্টে ইরার সঙ্গে টিপুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ইরার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে টিপু। গত ৪ জানুয়ারি টিপু তার বসতবাড়ির দক্ষিণ পাশের রুমে ইরাকে আটকে রেখে মারধর করেন। এক পর্যায় সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। অনেক অনুরোধ ও ১০ লাখ টাকা দেয়ার কথা বলে সে অবস্থা থেকে রেহাই পান ইরা। বিষয়টি ইরা তার বাবাকে জানালে তিনি টিপুর বাবার সঙ্গে কথা বলে একটি সমঝোতার চেষ্টা করেন। তবে এতে টিপুর বাবা বাদশা ফকির কর্ণপাত করেননি।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, এরপর গত ৩ এপ্রিল গৌরনদী উপজেলার এবি সিদ্দিক নামক হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি রুমে ইরাকে আটকে রাখেন টিপু। সেখানে ফের যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করে জখম করা হয় ইরাকে। এ সময় হাসপাতালের লোকজন এগিয়ে এলে ইরাকে নিয়ে বাড়ি চলে যান টিপু। সেখানে গিয়ে একটি কক্ষে আটক করে রাখেন এবং ইরার ব্যবহৃত মোবাইলফোন নিয়ে যান। পরে এক প্রতিবেশীর সহযোগিতায় ইরা তার বাবাকে বিষয়টি জানালে তিনি কুমিল্লা থেকে এসে ইরাকে উদ্ধার করেন।

পরে মঙ্গলবার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় স্বামী ও শ্বশুরকে আসামি করে মামলা করেন ইরা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় ডা. টিপু সুলতানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।