সিলেট ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২২
দেশে শক্তিশালী বিরোধীদল না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১১ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অপজিশন বলতে যারা আছে, তার মধ্যে দুটো পার্টিই (বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি) মিলিটারি ডিকটেটর— একেবারে সংবিধান লঙ্ঘন করে, আর্মি রুলস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল তাদের হাতে গড়া। কাজেই তাদের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তাদের কাছে ক্ষমতাটা ছিল একটা ভোগের জায়গা। সেই ক্ষেত্রে আসলে অপজিশন তাহলে কোথায়? এখানে একটা পলিটিক্যাল সমস্যা কিন্তু আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই আমরা আমাদের শক্তিশালী বিরোধীদল পাচ্ছি না। তাদের অবস্থানটা মানুষের কাছে নেই। কারণ তারা তো এসেছেই একটা ভাসমান অবস্থায়। কাজেই তারা সেই ভিক্তি গড়তে পারেনি। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড থেকে যখন শোনায় যে এখানে ডেমোক্রেসি, পার্টিসিপেটরি ডেমোক্রেসি, ইলেকশন, হেনতেন কিন্তু আসলে এখানে করবেটা কি। সেটাও তারা চিন্তা করে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলতে গেলে অনেক দল দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, উন্নত বিশ্বে দেখলে আপনারা দেখবেন সেখানে কিন্তু মাত্র দুই দল হয়ে গেছে এখন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুই দলের বেশি শক্তিশালী দল নেই।’
‘আবার নির্বাচনে আমি তো জানি যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৫ শতাংশ সংগঠন ইলেকশনই করে না। ইলেকশন করার বিষয়ে একটা অনীহা চলে আসে মানুষের। এটাও কিন্তু অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশটা ধীরে ধীরে ওরকম হয়ে যাচ্ছে।’
বিগত বিএনপি-জামায়াত আমলের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পেছনে থেকে তাদের উৎসাহ দিয়ে একবার ক্ষমতায় আনতে পারে, যেটা ২০০১ সালে এনেছিল। কিন্তু তার পরিণতি কি ছিল? বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, বাংলা ভাই সৃষ্টি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, ৫০০ জায়গায় একদিনে বোমা হামলা, আমি অপজিশনে আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, অপজিশনের অনেক নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা।’
তিনি বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলা, কামরান মারা গেছে তার ওপর দুই বার গ্রেনেড হামলা হলো, হেলালের মিটিংয়ের ওপর হামলা সেখানে ৯ জন মারা গেলো। এ রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সেই সময় দেশজুড়ে। যার জন্য ইমার্জেন্সি, তারপরে এটা হলো বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাটা যদি মানুষকে ঘিরে হয়, মানুষের কল্যাণমুখী হয়, সেই রাজনীতি কিন্তু টিকে থাকে, সেটাই চলে।’
আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ একটা দল, যে দলটা সেই ১৯৪৯ সালে তৈরি। বিরোধীদল থেকে একেবারে সাধারণ মানুষকে নিয়ে এ দলটা গড়ে তোলা। এ সংগঠনের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।’
‘আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়। কেন হয়? এ জন্য হয়, আমরা তো মাটি ও মানুষের মধ্য থেকে উঠে এসে মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই এ সংগঠনটা তৈরি। কাজেই আমাদের চিন্তা চেতনাটা ওখানেই থাকে।’
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে এ মতবিনিময় সভা। এতে অন্যান্যের বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমম্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিগত তিন বছরের কাজের ওপর একটি উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন
Chief Editor : Afroz Khan
Editor: Sunny Ahmed
Executive editor: Mohammed Taizul islam,
Message editor : Shahan Shah Ahmed
Call: +88 01995-019920
Office : West World Shopping City (7nd Floor), Zindabazar, Sylhet 3100
Email : info.Sylhetnewsworld@gmail.com
Web : www.SylhetNewsWorld.com