ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

প্রকাশিত: ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ, |                          

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে প্যারিসের একটি রেস্তোরাঁয় ৭ মার্চ সোমবার ফ্রান্স আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এ ওয়াহেদ ভার তাহের ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমেদ, যুবলীগ নেতা মাদব কান্তি দেব,সুমন আহমেদ, খালেদ আহমেদ, হোসেন আহমদ, জাবের হোসেন এবং ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ সহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

সভায় বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন, তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে ১৬৯ আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওমীলীগ ১৬৭ আসনে জয় লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করলেও ইয়াহিয়া খান এবং ভুট্টো ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহানা শুরু করেন। মার্চের তিন তারিখে ইয়াহিয়া খান জাতীয় অধিবেশনের ডাক দিয়েও মার্চের ১ তারিখে এই অধিবেশন বাতিল ঘোষণা করেন।

এই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান বর্তমানে সরোওয়ার্দি উদ্যানে জনসভার ঘোষণা দেন। এই জনসমাবেশ না করার জন্য ইয়াহিয়ার সরকার বঙ্গবন্ধুর উপর নানান রকম চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এবং ৬মার্চে সভাস্থলের আশেপাশে সেনা ও কামান মোতায়েন করেন। এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে পূর্ব বাংলায় রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।

বিচক্ষণ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ১৮ মিনিটের যে ভাষণ সেদিন দিয়ে ছিলেন, পৃথিবীর তাবদ রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও সমাজ বিজ্ঞানীরা স্তম্ভিত হয়ে যান। বক্তারা বলেন সভায় বঙ্গবন্ধু বলেন, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম “- এটাই ছিলো বিচক্ষণ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। ব্যাপক রক্তপাত এড়াতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু এই রাজনৈতিক ঐতিহাসিক প্রজ্ঞার পরিচয় দেন।

বক্তারা আরও বলেন, এই ভাষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে ইউনেস্কো ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ঐতিহাসিক এ ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডকুমেন্টারীর অন্তর্ভুক্ত করেন। ইউনেস্কোর এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ পৃথিবীর বুকে নিদর্শন হিসেবে রবে আজীবন।

বক্তৃতারা ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সকল সদস্য যারা ১৫ই আগস্টে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শাহাদাত বরণ করেন তাদের সকলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।