গ্রীসে বাংলাদেশীদের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলো

প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, |                          

 

ঢাকা প্রতিনিধি: গ্রীসের অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রী প্যানাজিওটিস মিতারাচির ঢাকা সফরে ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশী সম্ভাব্য কর্মীদের জন্য গ্রীক শ্রমবাজার আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে আজ। কিছুক্ষণ আগে ঢাকায় বাংলাদেশের মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বাংলাদেশ এবং ইইউ দেশের মধ্যে এটিই প্রথম আইনি কাঠামো যা ‘নিয়মিত, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল’ অভিবাসনের পথ প্রশস্ত করছে।
এটি ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত যে এই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা বিশেষ করে বাংলাদেশ ও গ্রীস এবং সাধারণভাবে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রীক মন্ত্রী জানান যে, এই চুক্তিটি গ্রিসের পার্লামেন্টে অনুমোদনের মাধ্যমে শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে।
এটি ইউরোপের কোন দেশের সাথে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রথম সমঝোতা স্মারক উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মীরা নিরাপদে গ্রিসে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবে।বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সম্পূর্ণ নিয়োগকারীদের ব্যয়ে গ্রিসে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো আগ্রহী ব্যক্তি যেন কোনোভাবে কোনো দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে তিনি উল্লেখ করেন।
গ্রিসের মিনিস্টার অফ মাইগ্রেশন এণ্ড এ্যাসাইলাম মিঃ প্যানাইয়োটিস মিতারাচি বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা পরিশ্রমী হলেও মানবপাচারকারীরা তাদের ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করছে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে বলে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য স্বাধীনতার পর প্রথম কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রীসে আগমন করেন ২০১৯ সালে জালালাবাদ এসোসিয়েশন গ্রীস এর সভাপতি সাংবাদিক তাইজুল ফয়েজ,সাধারণ সম্পাদক মুমিন খান এর আমন্ত্রণে বিশ্ব সিলেট উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন এমপি।দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গ্রীস সরকারের সাথে দুটি স্মারক স্বাক্ষরিত হয় ।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে গ্রীস সরকার অনাআবাসিক দূতাবাস স্থাপন করেছেন। এবং সে সময় গ্রিসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো.জসীম উদ্দিন এনডিসি গ্রিসে সরকারি বাংলা স্কুলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে একটি স্মারক পত্র প্রদান করেন প্রতিউত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব করব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিব বর্ষে ‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেন্টেনিয়াল স্কুল” নামে একটি সরকারি ভাবে বাংলাদেশি স্কুল প্রতিষ্ঠা করার জন্য।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব এর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি প্রদান করেন। করোনার জন্য দেরিতে হলেও কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ, এমপি উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রতিনিধি দল নিয়ে পাঁচ দিনের সরকারি গ্রিসে আসেন।মন্ত্রীর সফর সঙ্গী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনির সালেহীন ,বাংলাদেশ ওয়েজ-আর্নার বোর্ডের মহা-পরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ,অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিশ্বজিৎ ভট্টাচারিয়া খোকন (এনডিসি) প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের মহা-পরিচালক মোহাম্মদ সারোয়ার আলম ,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মনোয়ার মোকাররম এবং পিডব্লিউডি’র প্রকৌশলী কাজী ফিরোজ হাসান।
মুজিব বর্ষের কর্মসূচী অনুযায়ী গ্রীসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারের সন্তানদের বাংলা শিক্ষা কার্যক্রমের আওয়াতায় বঙ্গবন্ধুর নামে একটি বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ ও সংশ্লিষ্ট গ্রিক মন্ত্রণালয়ের সাথে ফলপ্রসূ বৈঠক করেন।