ভূমধ্যসাগরে নিহত সাত বাংলাদেশির লাশ দেশে আসছে

প্রকাশিত: ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ, |                          

ইউরোপে অভিবাসনের প্রত্যাশায় নৌকায় করে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই সাতজনের মধ্যে জয় তালুকদারের মরদেহ দেশে আসছে আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি। এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞপ্তি মতে, জয় তালুকদারের মরদেহ ১০ই ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে রওনা দেবে। আগামী শনিবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে তার লাশবহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া কামরুল হাসান বাপ্পীর মরদেহ দেশে আসছে আগামী রোববার। এই দু’জনের স্বজনদের সঙ্গে দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। জয় তালুকদার ওরফে রতনের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামে।
কামরুল হাসান বাপ্পীর বাড়িও মাদারীপুর সদর উপজেলায়। বাকি পাঁচজনের মরদেহ শিগগিরই দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলছে জানিয়ে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, ২৫শে জানুয়ারি লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় সাত বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, মারা যাওয়া সাতজন হলেন- ১. ইমরান হোসেন, গ্রাম: পশ্চিম পিয়ারপুর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর। ২. জয় তালুকদার ওরফে রতন, গ্রাম: পিয়ারপুর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর। ৩. সাফায়েত, গ্রাম: ঘটকচর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর। ৪. জহিরুল, গ্রাম: মোস্তফাপুর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর। ৫. কামরুল হাসান বাপ্পী, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর। ৬. সাজ্জাদ, গ্রাম: মামুদপুর, উপজেলা: জামালগঞ্জ, জেলা: সুনামগঞ্জ। ৭. সাইফুল, উপজেলা: ভৈরব, জেলা: কিশোরগঞ্জ। এর আগে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অবৈধভাবে নৌকাযোগে লিবিয়া থেকে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন একদল অভিবাসনপ্রত্যাশী। যাত্রাপথে ঠাণ্ডায় প্রাণ হারান সাতজন। ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ওই নৌকায় যাত্রী ছিলেন ২৮৭ জন, তাদের মধ্যে ২৭৩ জনই বাংলাদেশি। ইতালিয়ান বার্তা সংস্থা এএনএসএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়, জনবসতিহীন ইতালিয়ান দ্বীপ ল্যাম্পেদুসার উপকূল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে নৌকাটিকে দেখতে পান কোস্টগার্ড সদস্যরা। নৌকায় তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে নৌকাটি বন্দরে ভেড়ানোর আগেই আরও চারজনের মৃত্যু হয়।