স্পেনে মানবাধিকার সংগঠনের গণ স্বাক্ষর

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, |                          

 

সিদ্দিকুর রাহমান, স্পেনঃ
ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ স্পেন বরাবরই অভিবাসীদের কাছে পছন্দের একটি দেশ। বিশেষ করে সহজ শর্তে বৈধ হওয়ার সুযোগ থাকায় দেশটিতে অভিবাসীরা ভিড় জমান। অভিবাসীদের স্বাধীনভাবে স্পেনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে স্পেন প্রথম।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের আতুচা এলাকায় ছয় ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় স্পেনের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে একে ঝড়ো হতে থাকে অভিবাসীদের নিয়মিত করনের জন্য সরকারের দেওয়া পাঁচ লক্ষ ফিরমা(স্বাক্ষর) পূরণের জন্য এবং গত আট বছর আগের এই দিনে স্পেনের তারাখালে স্পেন পুলিশের কারণে ১৪ জন অভিবাসী মৃত্যুবরণ করেন।তাদের কারণেই আজ এই শোক সভা ও পালন করা হয়। যাতে করে আর কোন অভিবাসীকে এভাবে প্রাণ না দিতে এ ব্যাপারে ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীলরা বক্তব্য রাখেন।
এ ব্যাপারে মানবাধিকার সংগঠন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মো. ফজলে এলাহী জানান, স্পেনে বিভিন্ন এসাইলাম নিয়ে স্পেনে প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন। স্পেন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অনিয়মিত পাঁচ লক্ষ ফিরমা(স্বাক্ষর) করে আমরা পার্লামেন্টে পাটানোর জন্য। উনি বলেন আজ পর্যন্ত আমাদের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের উপরে ফিরমা(স্বাক্ষর) হয়ে গেছে।কিছু দিনের ভিতরে আমরা পাঁচ লক্ষ পূরণ করে আমরা স্পেনের পার্লামেন্টে পাঠাবো।অল্প কিছু দিনের ভিতরে অভিবাসীদের জন্য একটা ভালো সুখবর আসবে।
ইউরোপের একমাত্র দেশ স্পেন, যেখানে ইউরোপের বাইরের তৃতীয় দেশের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ ও নমনীয়। ফলে যে কেউ খুব সহজেই এখানে থাকার ইচ্ছা পোষণ করলে ন্যূনতম শর্তে বসবাস করার সুযোগ পান। এখানে বিদেশিরা ১০ বছর নিয়মিত থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং ৩ বছর নিয়মিত থাকার পর যদি তাঁদের সন্তান জন্মগ্রহণ করে, তাহলে তিনি স্প্যানিশ নাগরিকত্ব পান। এই আইন অনুযায়ী এখন অনিয়মিতভাবে বসবাসকারী দম্পতির সন্তান জন্ম হলে সেও স্প্যানিশ নাগরিকত্ব পাবে বা দুজনের মধ্যে একজন স্পেনে বসবাস করলে তাঁদের সন্তানও স্প্যানিশ নাগরিকত্ব পাবে।