স্পেনে অনুষ্ঠিত হলো বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি’র অভিষেক

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১ | আপডেট: ১০:৩৬:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১

সিদ্দিকুর রাহমান, স্পেনঃ

বাংলাদেশের রাজনীতি অর্থনীতি এবং শিল্প সংস্কৃতিতে বৃহত্তর নোয়াখালী বিশেষ ভুমিকা রাখছে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে রয়েছে তাদের ঐক্য ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের প্রতীক বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর(বুধবার) রাত ৯টায় স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের বাঙ্গালী অধ্যুষিত লাভাপিয়েস এলাকার শাপলা ১ রেস্টুরেন্টের হল রুমে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি মাদ্রিদের নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছে।
২০০০ সালে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি মাদ্রিদের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ২০২১-২০২২ এর জন্য ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়, এই উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভা ও নৈশভোজের।
অনুষ্ঠানে লোকের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন বাংলাদেশের এক টুকরো নোয়াখালীর অংশ। মনেই হচ্ছিল না যে মাদ্রিদে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান এটি এম আব্দুর রউফ মন্ডল।

বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি মাদ্রিদের সভাপতি জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন শাকিল ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি কাজী এনায়েতুল করিম তারেক,সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন মনির, এস আর আই এস রবিন, আল মামুন, বায়তুল মুকাররম মসজিদের সভাপতি খুরশেদ আলম মজুমদার, আবুল আজাদ বেঙ্গল, মোহাম্মদ বেলাল হোসেন,গ্রেটার সিলেটের সাবেক আহবায়ক কাইয়ুম আহমদ মাসুক, কমিউনিটি নেতা নূর হোসেন পাটোয়ারী,নারায়ণগঞ্জ জেলা এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি একরামুজ্জামান কিরণ, কমিউনিটি নেতা রিজভী আলম, এসোসিয়েশন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি ফজলে এলাহি, সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা নোয়াখালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, নোয়াখালী ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং ভাষার দিক দিয়ে প্রাচীন একটি জেলা। নোয়াখালীর প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম সুধারাম। নোয়াখালী নামের উৎপত্তি নিয়ে নানা জনের নানান মত রয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত মতটি হলো, ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর পানিতে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবমতে ১৬৬০ সালে বিশাল একটি খাল খনন করা হয়, যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে। এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় ‘নোয়া (নতুন) খাল’ বলা হতো, এর ফলে ‘ভুলুয়া’ নামটি একসময়ে পরিবর্তিত হয়ে ১৬৬৮ সালে হয়ে যায় নোয়াখালী।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেস্টা বাহারুল আলম,রেজাউল করিম মিটু,আব্দুস সাত্তার, সংগঠনের সহ সভাপতি ডালিম বেপারী রাজু,দিদারুল আলম,বাবলু খান, সংঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ ইবনে নিশাত, সোহেল আহমদ,শাহাবুদ্দিন সহ সংগঠনের সব সদস্যরা।