বেলজিয়ামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ কে ইউরোপ থেকে ডিপোর্ট প্রসঙ্গে অবহিত করাহল

প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ, |                          

 

তাইজুল ফয়েজ, বেলজিয়াম থেকে:
সম্প্রতি ইউরোপের তিন দেশ থেকে ৫১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ফেরত এর মধ্যে ফ্রান্স থেকে ২১ জন, সাইপ্রাস থেকে ১৬ জন এবং গ্রিস থেকে ১৪ জন রয়েছেন।
ফ্রান্সের ২১ জনের মধ্যে কয়েক জনের ইউরোপের বৈধ কাগজপত্র ছিল। তারপরও তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা সামাজিক যোগাযোগে ভিডিওবার্তা মাধ্যমে।
তারা ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা খরচ করে উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছিলেন।
অভিবাসন অভিজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সে কাগজবিহীন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয় খুবই কম। সাধারণত বড় কোনো অপরাধ না করলে দেশে পাঠানো হয় না। আগে কোনো অনিয়মিত বাংলাদেশিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়ে আউট পাস চাইত। তখন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তদন্তের কথা বলে সময় চাওয়া হতো। আর এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন উপায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে মুক্তি পেয়ে যেতেন।
বর্তমানে ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে বাংলাদেশিদের লিস্ট করে আউট পাস দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কমিউনিটির মধ্যে।
ডিপোর্ট প্রসঙ্গে সরকারকে অবগত করতে গত ৩ জানুয়ারি ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ রাষ্ট্রীয় সফরে বেলজিয়াম আসলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে নেতৃবৃন্দ সেখানে জড়ো হয়ে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। তার আবাসস্থলে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কাশেম, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন মকছুদ হিমু, শিল্প ও বাণিজ্য উপ- কমিটির সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও জার্মান বাংলাদেশ দূতাবাসের অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা চৌধুরী সালেহ আহমদ, সহ-সভাপতি আলী আজম খান, এ সময় আর টিভি ফ্রান্স প্রতিনিধি,ইউরো বাংলা প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাইজুল ফয়েজ মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন ইউরোপ থেকে অসংখ্য বাংলাদেশীকে বাংলাদেশে ডিপোর্ট করা হচ্ছে, এজন্য ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিরা দুশ্চিন্তায় জীবনযাপন করছেন, ইউরোপে বসবাসকারী ইন্ডিয়ান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার নাগরিকরাও গ্রেপ্তার হচ্ছেন কিন্তু তাদেরকে দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না, কেন বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে ইউরোপ দুই নীতি অবলম্বন করবে।বাংলাদেশ কূটনীতিকভাবে একটি সফল রাষ্ট্র এবং বাংলাদেশে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা বসবাস করছে আমরা তো তাদেরকে জোর করে তাড়িয়ে দিচ্ছি না।
প্রতি উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন বিশেষ করে ফ্রান্স সরকার অবৈধ বাংলাদেশীকে ফেরত নিতে বারবার চাপ দিচ্ছে, যেহেতু অন্য দেশের নাগরিকদের কে তারা ফেরত পাঠাচ্ছে না তাহলে শুধু কেন বাংলাদেশীদের দেশে ফেরত পাঠাবে সে বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।
এবং খুব শীঘ্রই এর সুফল আপনারা ভোগ করবেন।
পরে বেলজিয়ামের স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।