গান্ধীর ছবি নিয়ে ইউরোপে ভ্যাকসিনবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ, |                          

মহাত্মা গান্ধীর ছবি নিয়ে ইউরোপে এখন ভ্যাকসিনবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। ফ্রান্স ও ইতালিতে আন্দোলনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

ফ্রান্সে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘হেলথ পাস’ দেখানোর নিয়ম চালু রয়েছে। কিন্তু এ নিয়মের বিরুদ্ধে টানা তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এখন বাসিন্দাদের ওপর ঝোলানো হয়েছে টিকাদানের কার্ডের খাঁড়া। ক্যাফেতে চা-কফি খাওয়া, রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ কিংবা স্টেডিয়ামে খেলা দেখা, একমাত্র ভ্যাকসিনেশন কার্ড থাকলেই এ ধরনের কাজকর্মে অনুমতি মিলবে।

এই নয়া নিয়মের গেরো থেকে মুক্তির দাবিতে সপ্তাহ শেষে ইতালি ও ফ্রান্সের রাস্তায় নামলেন হাজার হাজার মানুষ।

করোনাবিধি প্রত্যাহারের দাবিতে রোববার বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে জার্মানির বার্লিনেও। সেখানকার বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল মহাত্মা গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো শান্তিদূতদের পোস্টার। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়।

ইতালি ও ফ্রান্স— দুই দেশের নেতারাই টিকাদান কার্ড চালু করতে বদ্ধপরিকর। ইতালিতে নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রিন পাস’। আর ফ্রান্সে নাম দেওয়া হয়েছে ‘হেল্থ পাস’।

টিকা দেওয়ার ওপর জোর দিতেই সরকারের এ ব্যবস্থা। এখনও বাসিন্দাদের একাংশ কোভিডের টিকাদানে বিরোধী।

টিকা নেওয়ার ওপরে জোর দেওয়াকে তারা মানবাধিকারে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। কেউ কেউ আবার টিকা কতটা নিরাপদ, সে নিয়ে চিন্তিত।

ভ্যাকসিনেশন নয়, স্বাধীনতা চাই- এই দাবিতে গত সপ্তাহের শেষে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ ইতালির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমেছিলেন।

ইউরোপের কোনো দেশেই টিকাদান বাধ্যতামূলক নয়। সেভাবে প্রচারও করা হচ্ছে না বেশিরভাগ দেশে। কিন্তু একাধিক দেশে ‘ভ্যাকসিন পাস’-এর নিয়ম চালু করা হয়েছে। যেমন ডেনমার্কে পাস চালু হয়ে গেছে।

বেলজিয়ামে নিয়ম হয়েছে— কোনো আউটডোর ইভেন্টে দেড় হাজারের বেশি লোক হলে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট লাগবে। আগস্টের মাঝামাঝি এই নিয়ম চালু হবে।

বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠানের এখনও অনুমতি নেই এই দেশে। সেপ্টেম্বর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তাতেও লাগবে টিকার সার্টিফিকেট। স্পেনে লোকজন নিজেদের উৎসাহেই টিকা নিচ্ছে।