আসুন, আন্দোলন শুরুর আগে ‘বিভেদ-গ্রুপিং’ দূর করি: ফখরুল

প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, |                          

সরকার পতনের আন্দোলন শুরুর আগে অতিদ্রুত দলের মধ্যকার ‘বিভেদ-গ্রুপিং’ দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- আওয়ামী লীগ কী করছে, করুক। জনগণের কাছে তাদের অন্যায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) ভেসে যাবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন- অতি দ্রুত আগামীতে আমরা নিজেদেরকে পুরোপুরি সংগঠিত করি। নিজেদের ভুল-বোঝাবুঝি, বিভেদগুলো দূর করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে একত্রিত করে দানব সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করি। আমরা যেন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারি।

শনিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরের টঙ্গীতে সালাহ উদ্দিন সরকারের বাসভবন মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে এই ভার্চুয়াল সভা হয়।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যিনি গত বছরে মার্চ মাস থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িকভাবে মুক্ত আছেন; তার মুক্তির আন্দোলনও শুরুর কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে আগেই মুক্ত করতে হবে। তাছাড়া এখানে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হবে না। দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন দিয়েই শুরু করতে হবে গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি সেই লক্ষে আমাদের অতিদ্রুত এগুতে হবে।

বর্তমান অবস্থাকে ‘সংকটময়’ অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থার পরিবর্তন আমাদেরকেই করতে হবে। অন্য কেউ এসে আমাদেরকে করে দিয়ে যাবে না। বিএনপিকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিএনপি হচ্ছে সেই দল যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। বিএনপি হচ্ছে সেই দল যার প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন শহীদ জিয়াউর রহমান; যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিএনপি হচ্ছে সেই দল যার চেয়ারপারসন হচ্ছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া; যিনি গণতন্ত্রকে মুক্তি দিয়েছিলেন। আজকে আবার যখন রাজনৈতিক সংকট, সব কিছু নিয়ে চলে যাচ্ছে তখন আমাদেরকেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমাদেরকেই শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক শাফিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন সরকার, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মো. সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপি নেতা মীর হালিমুজ্জামান ননী, মো. শওকত হোসেন সরকার, শাহজাহান ফকির, হুমায়ূন কবীর মাষ্টার, সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, মাহবুব-উল আলম শুক্কুর, সুরুজ আহাম্মেদ, হুমায়ূন কবির রাজু, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন, হেলাল উদ্দিন, রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম কিরণ, মজিবুর রহমান, শাহজাহান ফকির, খলিলুর রহমান প্রমুখ।