চীনের যুদ্ধবিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য মালয়েশিয়ার ক্ষোভ

প্রকাশিত: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, |                          

চীনের ১৬টি সামরিক যুদ্ধবিমান মালয়েশিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করায় ক্ষিপ্ত মালয়েশিয়া। এ জন্য মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার কথা জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার কাছে এই অনুপ্রবেশের ব্যাখ্যা চাওয়ার কথা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে বলা হয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বিমান বাহিনীর ১৬টি বিমান মালয়েশিয়ার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (ইইজডে) প্রবেশ করে সোমবার। দক্ষিণ চীন সাগরে এসব বিমানের সন্দেহজনক তৎপরতা শনাক্ত করে মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী। এরপর এ ঘটনা ঘটে। মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনী বলেছে, তারা সোমবার ওইসব বিমানকে সংঘবদ্ধভাবে ধাওয়া করে।

এর আগে তা মালয়েশিয়ার বোর্নিও রাজ্যের সারাওয়াক রাজ্যের ৬০ নটিক্যাল মাইলের ভিতরে প্রবেশ করে। তারা একে মালয়েশিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ফ্লাইট নিরাপত্তার প্রতি মারাত্মক হুমকি বলে বর্ণনা করেছে। কয়েকবার নির্দেশনা দেয়া সত্ত্বেও চীনের বিমানগুলো আঞ্চলিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এ নিয়ে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হোসেন বলেছেন, কূটনৈতিকভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়ে একটি নোট দেবে মালয়েশিয়া এবং আকাশসীমা, সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, মালয়েশিয়ার অবস্থান পরিষ্কার। যেকোনো দেশের সঙ্গে সে বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক চায়। তার মানে এই নয় যে, মালয়েশিয়া তার জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপোস করবে।
এর আগে চীনের দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, তাদের বিমানগুলো নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এক্ষেত্রে অন্য দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন না করে আন্তর্জাতিক আইন কঠোরভাবে মেনে চলেছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন, চীন এবং মালয়েশিয়ায় বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী। যৌথভাবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে চায় চীন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরে সম্প্রসারিত অংশের দিকে অগ্রসর হয়ে চীন তা তাদের বলে দাবি করছে। সেখানে তারা কৃত্রিমভাবে দ্বীপ সৃষ্টি করে সামরিক স্থাপনা তৈরি করছে। কিন্তু ওই এলাকায় বিভিন্ন দ্বীপ এবং স্থাপনা নিজেদের বলে দাবি করেছে ব্রনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম। বদেশী বোট এবং এয়ারক্রাফটকে দূরে থাকার জন্য নিয়মিত সতর্কতা দিয়ে যাচ্ছে চীনের কোস্ট গার্ডরা।